শিলিগুড়ি, 4 ডিসেম্বর: মাঝরাতে দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ ভাড়াটিয়া যুবকের ৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মহিলার (Couple Attacked by Tenant Boy in Siliguri Woman Dead) ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি ৷ শনিবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 2 নম্বর ওয়ার্ডের কুলিপাড়ার সাউথ আম্বেদকর কলোনি এলাকায় ৷ মৃতের নাম গঙ্গা ছেত্রী, বয়স 40 বছর ৷ আহত ব্যক্তির নাম মহম্মদ শাহজাদ, বয়স 50 বছর ৷ অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া বছর 22-এর বিকাশ পাঞ্জিয়ার ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ৷
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রধাননগর থানার আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদি ৷ তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি ৷ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে বিকাশ পাঞ্জিয়ার নামে ভাড়াটিয়াকে ওই ঘর থেকে পালাতে দেখা গিয়েছে ৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে হঠাৎই শাহজাদ এবং তাঁর স্ত্রী'র চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা ৷ চিৎকার শুনে ঘরের বাইরে এসে দেখেন, ভাড়াটিয়া ওই যুবক ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন ৷ এরপর প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন গঙ্গা ছেত্রী এবং মহম্মদ শাহজাদ ৷ স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে দ্রুত সেখানে যান ওয়ার্ড কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক ৷ তিনি একটি গাড়িতে করে দু’জনকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠান ৷
তবে, হাসপাতালে গঙ্গা ছেত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক ৷ এদিকে, শাহজাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় ৷ কিন্তু, জানা গিয়েছে শাহজাদকে মেডিক্যাল কলেজে না নিয়ে গিয়ে, সেভক রোডের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক নিজে পুলিশে ফোন করে খবর দেন ৷ প্রধাননগর থানার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে ৷ খবর পেয়ে এসিপি (পশ্চিম) মনীষ যাদব, এসিপি (গোয়েন্দা বিভাগ) রাজেন ছেত্রী ঘটনাস্থলে যান ৷ ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী ঘটনাস্থলে আসেন ৷
আরও পড়ুন: বাবার সঙ্গে শত্রুতা, মেয়ের পেট কেটে দেহাংশ গমের ক্ষেতে ছড়াল প্রতিবেশী
এই ঘটনা অভিযুক্ত বিকাশ পাঞ্জিয়ার খোঁজে শিলিগুড়ি ও তার আশেপাশের সব থানাকে সতর্ক করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত বিকাশ যাতে শহর ছেড়ে পালাতে না পারে, তার জন্য নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন ৷ কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক বলেন, ‘‘কেন ওই যুবক বাড়ির মালিক দম্পত্তির উপর হামলা করল জানা নেই ৷ পুরো ঘরে রক্ত পড়ে রয়েছে ৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ৷’’ স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘চিৎকার শুনে ছুটে আসি ৷ দেখি বিকাশ পালিয়ে যাচ্ছে ৷ ঘরে ঢুকে দেখি দু’জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৷ কেন এরকম ঘটনা ঘটল জানা নেই ৷’’