ETV Bharat / state

Strike Suspended in Hill: ঘরের মানুষের সমর্থন নেই বুঝেই বনধ স্থগিত, বিনয়-অজয়দের সিদ্ধান্তে শুরু রাজনৈতিক তরজা - রাজনৈতিক মহল

ঘরে-বাইরে চাপ সামলাতে না-পেরেই বনধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল বিরোধীরা! এখন অন্তত এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল (Controversy over Withdraw Hill Strike)।

Strike Suspended in Hill
বনধ স্থগিত পাহাড়ে
author img

By

Published : Feb 22, 2023, 5:11 PM IST

দার্জিলিং, 22 ফেব্রুয়ারি: বনধ না-হলেও কি পাহাড়ে ক্ষমতা হারিয়েছেন অজয়, বিমল আর বিনয়রা? পাহাড়বাসীর সমর্থন কি নেই তাঁদের সঙ্গে? এই জন্যই কি বনধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল বিরোধীরা ৷ এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভায় আনা বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আচমকায় আগামিকাল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনেই বনধ ডেকে বসে জিটিএ'র বিরোধী দল হামরো পার্টি-সহ বিনয় তামাং ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তারপর শিলিগুড়ি থেকে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বনধ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি (Mamata Banerjee Warning) অন্যদিকে, জিএনএলএফ ও বিজেপির মতো জোট সঙ্গীদের নিয়ে বনধের অবস্থান থেকে সরে আসা। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়ে যান অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাং (Binay Tamang and Ajoy Edwards Fell into Trouble)।

তার উপর বনধের বিরোধিতা করার কথা সাফ জানিয়ে দেয় মিরিক, কার্শিয়াং, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের গাড়ি চালক সংগঠন। হাত তুলে নেয় হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। শেষমেশ নতিস্বীকার করে বনধ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অজয় ও বিনয়রা। তবে 2017 সালের পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে 103 দিনের বনধ প্রত্যক্ষ করার পর পাহাড়বাসী নিজেরাই এখন বনধের চরম বিরোধী। পাহাড়ে কোনওভাবেই আর বনধের রাজনীতি চান না তাঁরা। জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, "এখন পাহাড়বাসীরাই বনধ চান না। এখন আমি বনধ ডাকলেও পাহাড়ে বনধ হবে না। আর ওদের তো মানুষের সমর্থনই নেই। কীভাবে বনধ করবে? সবটাই স্টান্ট।" পালটা বিনয় তামাংদের একহাত নিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: চাপের কাছে নতিস্বীকার ! মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই পাহাড় বনধ স্থগিত রাখলেন অজয়-বিনয়রা

তিনি বলেন, "ভাগোরে নেতারা কোনও কাজে লাগে না। পাহাড়ের রাজনীতি হচ্ছে টাকার লেনদেন। পাহাড়বাসীদের চিন্তা করা উচিত। পাহাড়বাসী বারবার প্রতারিত হয়েছে।" গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং বলেন, "আমরা প্রথম থেকেই বনধ নিয়ে কোনও অবস্থান নিইনি। আমাদের দলের কোনও সিদ্ধান্তও ছিল না।" উল্লেখ্য, জিটিএ নির্বাচনের পর থেকেই পাহাড় এখন অনেকটাই শান্ত। রাজ্যের সহযোগিতায় পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করছেন অনিত থাপা। দার্জিলিং পৌরসভা হাতছাড়া হতে ক্ষমতাও অনেকটা খর্ব হয়েছে অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংয়ের। যে কারণে পাহাড়ে এখন বনধ ডাকলে আদতে তা ব্যুমেরাং হতে পারে বিরোধীদের, সেটা পরিস্থিতি যাচাই করে বোঝা মাত্রই বনধ স্থগিত করতে বাধ্য হন তাঁরা।

দার্জিলিং, 22 ফেব্রুয়ারি: বনধ না-হলেও কি পাহাড়ে ক্ষমতা হারিয়েছেন অজয়, বিমল আর বিনয়রা? পাহাড়বাসীর সমর্থন কি নেই তাঁদের সঙ্গে? এই জন্যই কি বনধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল বিরোধীরা ৷ এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভায় আনা বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আচমকায় আগামিকাল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনেই বনধ ডেকে বসে জিটিএ'র বিরোধী দল হামরো পার্টি-সহ বিনয় তামাং ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তারপর শিলিগুড়ি থেকে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বনধ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি (Mamata Banerjee Warning) অন্যদিকে, জিএনএলএফ ও বিজেপির মতো জোট সঙ্গীদের নিয়ে বনধের অবস্থান থেকে সরে আসা। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়ে যান অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাং (Binay Tamang and Ajoy Edwards Fell into Trouble)।

তার উপর বনধের বিরোধিতা করার কথা সাফ জানিয়ে দেয় মিরিক, কার্শিয়াং, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের গাড়ি চালক সংগঠন। হাত তুলে নেয় হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। শেষমেশ নতিস্বীকার করে বনধ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অজয় ও বিনয়রা। তবে 2017 সালের পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে 103 দিনের বনধ প্রত্যক্ষ করার পর পাহাড়বাসী নিজেরাই এখন বনধের চরম বিরোধী। পাহাড়ে কোনওভাবেই আর বনধের রাজনীতি চান না তাঁরা। জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, "এখন পাহাড়বাসীরাই বনধ চান না। এখন আমি বনধ ডাকলেও পাহাড়ে বনধ হবে না। আর ওদের তো মানুষের সমর্থনই নেই। কীভাবে বনধ করবে? সবটাই স্টান্ট।" পালটা বিনয় তামাংদের একহাত নিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: চাপের কাছে নতিস্বীকার ! মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই পাহাড় বনধ স্থগিত রাখলেন অজয়-বিনয়রা

তিনি বলেন, "ভাগোরে নেতারা কোনও কাজে লাগে না। পাহাড়ের রাজনীতি হচ্ছে টাকার লেনদেন। পাহাড়বাসীদের চিন্তা করা উচিত। পাহাড়বাসী বারবার প্রতারিত হয়েছে।" গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং বলেন, "আমরা প্রথম থেকেই বনধ নিয়ে কোনও অবস্থান নিইনি। আমাদের দলের কোনও সিদ্ধান্তও ছিল না।" উল্লেখ্য, জিটিএ নির্বাচনের পর থেকেই পাহাড় এখন অনেকটাই শান্ত। রাজ্যের সহযোগিতায় পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করছেন অনিত থাপা। দার্জিলিং পৌরসভা হাতছাড়া হতে ক্ষমতাও অনেকটা খর্ব হয়েছে অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংয়ের। যে কারণে পাহাড়ে এখন বনধ ডাকলে আদতে তা ব্যুমেরাং হতে পারে বিরোধীদের, সেটা পরিস্থিতি যাচাই করে বোঝা মাত্রই বনধ স্থগিত করতে বাধ্য হন তাঁরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.