শিলিগুড়ি, 3 মে : সঠিক পরিকাঠামোর জাহাজ না মেলায় আন্দামান থেকে ছয়টি কুনকি হাতিকে উত্তরবঙ্গে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না । সেক্ষেত্রে বিকল্প পথও খুঁজে পাচ্ছে না বনকর্তারা । ফলত রাজ্য বন দপ্তরের একাংশ কর্তাই ওই ছয় কুনকি হাতির আশা ছেড়ে দিয়েছেন । যদিও রাজ্য বন দপ্তরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ হার মানতে নারাজ । সবুরে মেওয়া ফলানোর আশায় প্রহর গুনছেন তিনি ।
উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল মূলত জলদাপাড়া অভয়ারণ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মতো রিজ়ার্ভ ফরেস্ট সহ বিভিন্ন বনাঞ্চলে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন । তাই বনকর্মী নিয়োগের পাশাপাশি ঘন জঙ্গলে পেট্রোলিংয়ের জন্য কুনকি হাতির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। সেক্ষেত্রে, রাজ্যের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়লেও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি । তবে, এক দফায় কুনকি হাতির সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে । যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বটে । সেক্ষেত্রে জঙ্গল এলাকায় নজরদারি বাড়াতে দ্বিতীয় দফায় আন্দামান থেকে কুনকি আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য । যদিও, একমাত্র জাহাজের অপ্রতুলতার জেরে তা বিশবাঁও জলে ।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, কুনকি হাতি না পৌঁছানোর জেরে নজরদারি সেভাবে আঁটোসাটো করা যাচ্ছে না । এদিকে, সেই সুযোগে এখনও চলছে চোরাশিকারিদের দাপট। তাদের দাপটে লেপার্ড থেকে শুরু করে হাতি গন্ডার কেউই রেহাই পাচ্ছে না । যা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই বনকর্মীদের।
বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, "নথিপত্র সমস্ত প্রস্তুত। তবে উপযুক্ত জাহাজ না মেলায় ছয়টি কুনকি হাতিকে আন্দামান থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না । আমরা চেষ্টা করছি অতিসত্বর হাতিগুলিকে উত্তরে নিয়ে আসার বিষয়ে । হাতিগুলিকে প্রাথমিকভাবে উত্তরের বিভিন্ন বনাঞ্চলে নিরাপত্তার কাজে লাগানো হবে । তবে তার মধ্যে কোনও একটি কুনকি হাতিকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের হাতি সাফারিতে কাজে লাগানো হবে ।
পরিকল্পনা অনেক থাকলেও তা বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বনকর্মীরা । কেননা জলপথ পাড়ি দিতে একমাত্র ভরসা জাহাজ । বিকল্প কোনও পথ নেই । সেক্ষেত্রে আন্দামান থেকে আদৌ কুনকি হাতি আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বনকর্মীদের একাংশের ।