শিলিগুড়ি , 16 জানুয়ারি : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা কোনও রোগীকে ফেরালে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের হঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই হুঁশিয়ারির রেশ কাটতে না কাটতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় শিলিগুড়ির মাটিগাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা মহম্মদ গফফরের ৷
গতকাল মৃত মহম্মদ গফফরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব ৷ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল, সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির নেতা আনন্দময় বর্মণ, জেলা যুব মোর্চা সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ৷ মৃতের পরিবারকে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো তুলোধনা করেন তাঁরা ৷ বলেন, "নির্বাচনের আগে তৃণমূল সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর মতো কার্ডের লোভ দেখিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে । কার্ডের কোনও মূল্য নেই।"
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও হয়রানির অভিযোগ
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি শহরের একাধিক সরকারি ও হাসপাতালে যাওয়া হলেও পরিষেবা মেলেনি । এরপর কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় মহম্মদ গফফরের (65) ৷ যদিও দু'সপ্তাহ আগেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করেছিল পরিবারটি । এরমধ্যে ব্রেন স্ট্রোক হয় মহম্মদ গফফরের । শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ বিকল হয়ে যায় । গত মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখান থেকে রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেও বেড না মেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপর ভরসা করে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে ৷ রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কার্ড দেখা মাত্র তাঁদের ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ । শেষে রোগীকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয় ৷ মঙ্গলবার রাতেই মারা যান মহম্মদ গফফর । ঘটনার পরই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা তথা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা ।