দার্জিলিং, 22 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির (Mamata Banerjee warning) পরই পাহাড় বনধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধীরা (Strike Suspended in Hill)। আজ বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ডরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা বনধ স্থগিত রাখছেন (Binay Tamang and Ajoy Edwards withdraw Hill Strike)৷
বনধ রুখতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী: বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হতেই পাহাড়ে প্রথমে চব্বিশ ঘণ্টা অনশন ও পরে 12 ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছিল বিরোধীরা । মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি সফরে গিয়ে সেই বনধের বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন । চরম হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বনধ হলে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।
অন্যদিকে, বনধকে কোনওভাবেই সমর্থন নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় জোটসঙ্গী জিএনএলএফও । ফলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে অবশেষ বনধ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা ।
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ডাকা হয় বনধ: বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশের পরই দার্জিলিংয়ে গোর্খা রঙ্গমঞ্চের সামনে অনশনে বসে জিটিএ-র বিরোধী সভাসদরা । সেখানে ছিলেন অজয় এডওয়ার্ড-সহ হামরো পার্টির সাতজন সভাসদ এবং বিনয় তামাং ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একজন সভাসদ । অনশনের পাশাপাশি 23 ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই 12 ঘণ্টার বনধের ডাক দেন তাঁরা ।
চাপের মুখে নতিস্বীকার: বনধ ডাকতেই তার বিরোধিতা করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও জিএনএলএফ । সবশেষে বিজেপিও ওই বনধের তীব্র বিরোধিতা করে । বনধ ডাকার পর একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি আর অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে বনধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন অজয় ও বিনয়রা ।
আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বনধ করলে রেয়াত নয়, শিলিগুড়িতে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
বনধ স্থগিতের ঘোষণা বিনয়ের: এ দিন বিনয় তামাং বলেন, "আমরা কখনওই বনধ ডাকিনি । আমরা পাহাড়বাসীর কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে সবাই বাড়িতে থাকেন । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জরুরি পরিষেবায় ছাড় ছিল । কিন্তু আমরা পরে সভাসদরা মিলে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিই, আমরা বনধ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করছি ।"
শোভনদেবের মন্তব্যের বিরোধিতা: এরপরই বিনয় তামাং বলেন, "বিলে নেপালি গোর্খাদের অনুপ্রবেশকারী ও আদিবাসীদের বহিরাগত বলা হয়েছে । যে মন্ত্রী ওই কথা বলেছেন তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে । না হলে পরিস্থিতি আগামীতে আরও উগ্র হবে । আগামীতে খালি পাহাড় নয়, গোটা উত্তরবঙ্গের পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্স মিলে জোর আন্দোলন হবে ।" উল্লেখ্য, গোর্খাদের নিয়ে বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপিও ৷