শিলিগুড়ি, 19 মার্চ: নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে অন্যদলে অথবা নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভায় বিজেপর টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সম্পাদক অলোক সেন। গতকাল দিল্লি থেকে রাজ্যের সপ্তম এবং অষ্টম দফায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করা হয়েছে জেলার মহিলা মোর্চার সভাপতি শিখা চট্টোপাধ্যায়কে। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। আজ তিনি দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অলোক সেন।
অলোকবাবু বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে এসেছি। দল প্রার্থী না করলেও আমি কাজ করে যাব। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সিপিআইএম প্রার্থী হয়েছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান দিলীপ সিং। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে অলোক সেনের নাম কানাঘুষ শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দল শিখা চট্টোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করেছে। অলোক সেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির তরফে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের দেবাশিষ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হন। কিন্তু বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি করে এবং দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। যার ফলে লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দেয় বিজেপি।
বিজেপি প্রার্থী না করায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সম্পাদক অলোক সেন। তিনি আরও বলেন, দলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা আমাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছিল। তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। তবে আমি প্রার্থী হব নির্দল হিসেবেই। মানুষের কাজের জন্য। অনেক কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল থেকে আসা প্রার্থীদের। অথচ যারা দলকে এতদিন ধরে রাখল তাদেরই দল মর্যাদা দিল না। পাশাপাশি শিলিগুড়ি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শংকর ঘোষ সম্পর্কে বলেন, উনি বিজেপিতে একাই যোগ দিয়েছেন। ওনার সঙ্গে আর কেউই দলে যোগ দেয়নি। গত পঞ্চায়েত ভোটে শিখা চট্টোপাধ্যায় নিজের বুথেই দলকে জেতাতে পারেনি অথচ দল তাঁকেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে। যাতে আমি মর্মাহত হয়েছি।