শিলিগুড়ি, 31 মার্চ : আগামী 17 এপ্রিল দার্জিলিঙে নির্বাচন ৷ তার আগে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের এক নির্দল প্রর্থী-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের চার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ তুলল ঘাসফুল শিবির ৷ এদিন শিলিগুড়ি মহকুমাশাসক তথা শিলিগুড়ির রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি জানায় বিরোধী দলের প্রার্থীরা ৷
তৃণমূল নেতৃত্বর অভিযোগ, শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ এবং মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন সরকারি বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত ৷ শঙ্কর ঘোষ শিলিগুড়ির বিবেকান্দ উচ্চ বিদ্যালয় এবং আনন্দময় বর্মন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার যতীন সিং স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত ৷ দুজনেই শিক্ষা দফতর , স্কুল কর্তৃপক্ষ বা স্কুলের পরিচালন সমিতির কাছ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুমতি নেয়নি।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল শিলিগুড়ির কৃষ্ণমায়া মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সরকার মনোনিত সদস্য। তিনিও সেই সদস্যপদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করেছেন। ফলে সেই হিসেবে তারও মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছে ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্ব।মাটিগাড়া নকশালবাড়ির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা এবারের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকারের তপশিলি শংসাপত্রর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে তারা ৷
শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ জানান, " তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ শিলিগুড়িতে ত্রিস্তরীয় বিজেপি সরকার গঠিত হবে ৷ মানুষ প্রস্তুত ৷ যারা বুঝতে পারছে না তারাই এরকম ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে ৷ "
অন্যদিকে মাটিগাড়া নকশালবাড়ির কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার জানান, " আমি তৃণমূল ছাড়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক নেতা আমাকে বারবার তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ৷ যখন ফিরিনি , তখন অভিযোগ আনছে ৷ আমার স্কুটিনি হয়ে গিয়েছে ৷ মনোনয়নও গৃহীত হয়েছে ৷ সুতরাং এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ৷ "
আরও পড়ুন :গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সোনিয়া-পাওয়ারদের চিঠি মমতার
মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন বলেন, " আমি একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে চাকরি করি ৷ স্কুলের যারা শিক্ষক তাঁরা সরাসরি স্কুলের শিক্ষক নন ৷ গত বিধানসভা ভোটেও আমি দাঁড়িয়েছিলাম ৷ আমাকে কোনও এনওসি নিতে হয়নি ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল সম্পূর্ণভাবে ভীতগ্রস্থ হয়ে গিয়েছে ৷ তারা বুঝকে পেরেছে যে তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে ৷ তাই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে ৷