দার্জিলিং, 16 এপ্রিল : চা বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থে স্ত্রী নম্রতা এবং দলীয় অনুগামীদের নিয়ে আমরণ অনশনে বসলেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস । শুক্রবার রাত থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের দাবি আদায়ে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন হামরো পার্টির নেতা (Hamro Party President Ajoy Edwards sits on till death hunger strike in Rangeet Tea Garden Darjeeling) ৷
জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের রঙ্গীত চা বাগান গত ছ'মাস ধরে বন্ধ রয়েছে । করোনা পরিস্থিতির আগেও ওই চা বাগানটি একাধিকবার লকআউট হয়েছে । কখনও এক বছর, কখনও তিনমাস । বাগানে স্থায়ী-অস্থায়ী সব মিলিয়ে প্রায় শতাধিক শ্রমিক রয়েছেন । দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনের পর সিংহভাগ চা শ্রমিক অজয় এডওয়ার্ডয়ের হামরো পার্টির শ্রমিক সংগঠনে যোগ দেন ।
অভিযোগ, শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি-সহ প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুয়িটির টাকাও বকেয়া রেখেছে মালিকপক্ষ । এর উপর বন্ধ চা বাগানে আইনের ফাঁক বুঝে প্রায় 1 হাজার 600 একর, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জমিতে টি ট্যুরিজমের জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ চা গাছ উপড়ে ফেলার কাজও শুরু হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Tea Garden Meeting : চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিস্ফলা
এই টি ট্যুরিজম নিয়ে চা বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি বলে অভিযোগ । বিষয়টি জানা মাত্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রমিকরা । টানা বিক্ষোভের পর এদিন চা বাগানে পৌঁছায় হামরো পার্টি নেতৃত্ব । বাগানে আসে দার্জিলিং জেলা পুলিশ । তারা বাগানে যেতেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা । পুলিশ চা বাগান ছেড়ে বেরিয়ে যায় ৷
এরপর চা বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অজয় এডওয়ার্ড । গতকাল রাত থেকে স্ত্রী নম্রতা ও দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি । অজয় বলেন, "আমাদের বংশপরম্পরায়, বাবা, মা, এখন আমরা চা বাগানের কাজ করছি । এরপর কি আমাদের ছেলেমেয়েরাও চা পাতাই তুলবে ? দার্জিলিং কি খালি চা পাতার জন্য বিখ্যাত ? যদি তাই হয়, তাহলে চা বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থ কেন চিন্তা করছে না সরকার বা মালিকপক্ষ ? আমরা টি ট্যুরিজমের বিপক্ষে নই । কিন্তু তার আগে শ্রমিকদের দাবি শোনা উচিত । তাঁদের বকেয়া মেটাতে হবে । আর সেজন্য এই অনশন ।"
আরও পড়ুন : TMC Tea Garden Union: রাজ্যের সমস্ত চাবাগানে শাসকদলের একটিই সংগঠন, ঘোষণা মলয় ঘটকের