শিলিগুড়ি, 22 এপ্রিল : শিলিগুড়িতে নদীর চড় দখল করে বিক্রি করার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার না-থাকার অজুহাত দিয়ে রাতারাতি নদীর উপর অবৈধভাবে সেতু তৈরি করে ফেলেছিল জমি মাফিয়ারা। সেই খবর পেয়ে সেতু ভেঙে ফেলল প্রশাসন (Illegally Built Bridge Demolish) ।
প্রশাসনের নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই লোহার ওই ব্রিজ বানিয়ে চলছিল নদীর চড় দখল। প্রশাসনের নজরে আসতেই ব্রিজের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় সেচ দফতর। বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর ফের রাতের অন্ধকারেই ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ করে জমি মাফিয়ারা, এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয় স্থানীয়রাও। যখন জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার দলীয় কর্মীদের সংযত হওয়ার কথা বলছেন তখন শহর শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়ারা এভাবেই একের পর এক সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে চলছে।
জলডুমুর এলাকায় অবৈধভাবে সাহু নদীর চড় দখল করে জমি মাফিয়ারা। 23 মার্চ, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সেচ দফতরের আধিকারিক, ডাবগ্রাম 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ রায়-সহ অন্যান্যরা। সেদিনই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। সরকারি অনুমতি ছাড়াই, কীভাবে নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ হল ? এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন : হট মিক্স প্লান্টের রাবিশে শহরের জলা ভরাটের অভিযোগ
পাশাপাশি নদী ও তৎসংলগ্ন এলাকার জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলেও, তা দেখাতে পারেনি জমির মালিকরা এমনটাই দাবি প্রসাশনের। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ তোমার, সেচ দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এনজেপি থানা ও আমবাড়ি ফাঁড়ির সহযোগিতায় বিরাট পুলিশবাহীনির ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই অবৈধ লোহার ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলে। তবে এই কাজে সাময়িক বাধা আনেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে ব্রিজ ভাঙার কাজ করে।
বিডিও পঙ্কজ তোমার বলেন, "অবৈধভাবে ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেচ দফতরের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা এই সেতু ভেঙে দিই।"
আরও পড়ুন : ধানবাদে বেআইনি কয়লা খনিতে ধস, বাংলার 40 জনের চাপা পড়ার আশঙ্কা
ডাবগ্রাম-2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ রায় বলেন, "জমি মাফিয়ারা সরকারি জমি হাতাতেই ওই সেতু নির্মাণ করেছিল। রাতারাতি ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম।"