কুশমণ্ডি, 3 জুন : ভিনরাজ্য থেকে আসায় গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । তাই বাধ্য হয়ে গ্রাম থেকে 200 মিটার দূরে ফাঁকা মাঠে ত্রিপল খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে 5 পরিযায়ী শ্রমিককে । কুশমণ্ডি ব্লকের হালদার পাড়া গ্রামের ঘটনা। পরিবারের লোকেরা তাঁদের দু'বেলা খাবার দিচ্ছেন ।
ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ফিরেছেন 25 হাজারের বেশি শ্রমিক । এখনও জেলার অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন । মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানা থেকে আসা সব পরিযায়ী শ্রমিককে কোয়ারানটিনে রাখার পাশাপাশি সোয়াব টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । জেলাজুড়ে গ্রামের স্কুলগুলিতে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন ।
বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে । এরপর তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । কিন্তু অভিযোগ, ওই 5 শ্রমিককে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । বাঁশবাগানের পাশে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । গ্রামবাসী এবং কুশমণ্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য প্রান্তিক সরকারের সহায়তায় ত্রিপলের অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে সেখানেই রাত কাটছে পরিযায়ী শ্রমিকদের । বাড়ি থেকে খাবার জুটছে বটে, কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের শেষ থাকছে না।। কবে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
এই প্রসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিক বাসুদেব হালদার বলেন, "গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । সরকারি সেন্টারে থাকার জায়গা মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ফাঁকা মাঠে ত্রিপল খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে ।"
প্রান্তিক সরকার জানান, হরিয়ানা থেকে ফিরেছেন পাঁচ শ্রমিক। স্থানীয়রা তাঁদের স্কুল থাকতে দেয়নি । তাই তাঁদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা হয়।