ETV Bharat / state

প্রসবের সময় বেরিয়ে এসেছিল জরায়ু, সফল প্রতিস্থাপন করলেন চিকিৎসক

পঞ্চমবারের জন্য সন্তান প্রসব করতে গিয়ে প্রসূতির শরীর থেকে বেরিয়ে আসা জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।

জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন
author img

By

Published : Mar 4, 2019, 11:52 PM IST

বালুরঘাট, ৪ মার্চ: পঞ্চমবারের জন্য সন্তান প্রসব করতে গিয়ে প্রসূতির শরীর থেকে বেরিয়ে আসা জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।

প্রসূতির নাম আনোয়ারা বিবি। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গুরইল এলাকায়। স্বামীর নাম রসিদুল ইসলাম। পেশায় দিনমজুর। গত ২ মার্চ তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। প্রথমে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। ৩ মার্চ সকাল ১০টা নাগাদ সন্তানের জন্ম দেয় আনোয়ারা বিবি। কিন্তু প্রসবের সময় তার জরায়ু বাইরে বেরিয়ে আসে। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দ্রুত নামতে থাকে পালস রেট। চিকিৎসক রঞ্জন মুস্তাফি সেই সময় অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেননি। বরং ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি (রিপোজিশন অব ইউট্রাস)-তে চিকিৎসা করে ওই প্রসূতির জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন করেন। এখন আনোয়ারা বিবি পুরোপুরি সুস্থ।

হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান, এই ধরনের ঘটনা সাধারণত ঘটে না। প্রসূতির দ্রুত চিকিৎসা না হলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো যেত না। স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন মুস্তাফি জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই ক্লিনিকাল পদ্ধতিতে তিনি আনোয়ারা বিবির চিকিৎসা করেন।

undefined

বালুরঘাট, ৪ মার্চ: পঞ্চমবারের জন্য সন্তান প্রসব করতে গিয়ে প্রসূতির শরীর থেকে বেরিয়ে আসা জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।

প্রসূতির নাম আনোয়ারা বিবি। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গুরইল এলাকায়। স্বামীর নাম রসিদুল ইসলাম। পেশায় দিনমজুর। গত ২ মার্চ তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। প্রথমে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। ৩ মার্চ সকাল ১০টা নাগাদ সন্তানের জন্ম দেয় আনোয়ারা বিবি। কিন্তু প্রসবের সময় তার জরায়ু বাইরে বেরিয়ে আসে। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দ্রুত নামতে থাকে পালস রেট। চিকিৎসক রঞ্জন মুস্তাফি সেই সময় অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেননি। বরং ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি (রিপোজিশন অব ইউট্রাস)-তে চিকিৎসা করে ওই প্রসূতির জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন করেন। এখন আনোয়ারা বিবি পুরোপুরি সুস্থ।

হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান, এই ধরনের ঘটনা সাধারণত ঘটে না। প্রসূতির দ্রুত চিকিৎসা না হলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো যেত না। স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন মুস্তাফি জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই ক্লিনিকাল পদ্ধতিতে তিনি আনোয়ারা বিবির চিকিৎসা করেন।

undefined
Intro:প্রসূতির শরীর থেকে বেরিয়ে আসা জরায়ু সফল প্রতিস্থাপন বালুরঘাট হাসপাতালে, সুস্থ রয়েছেন রোগী।।
বালুরঘাট, ৪ মার্চ: পঞ্চমবার সন্তান প্রসবের সময় প্রসূতির শরীর থেকে বেরিয়ে এল জরায়ু। বালুরঘাটে হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের শরীরের জরায়ুর সফল প্রতিস্থাপন। বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে আনোয়ারা বিবি নামে ওই রোগী। চিকিৎসকরা সোমবার ছুটি দিলেও বিশেষ নজরে রেখেছেন আনোয়ারা বিবিকে। জেলা হাসপাতালে জটিল ও বিরল চিকিৎসায় সাফলতায় খুশির আবহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে।
জানা গেছে, তপন থানার গুরইল এলাকার আনোয়ারা বিবির স্বামী রসিদুল ইসলাম। পেশায় দিনমজুর। প্রসব বেদনা উঠলে স্ত্রীকে গত ২ মার্চ প্রথমে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। অবস্থা জটিল হওয়ায় চিকিৎসকরা রোগীকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন। ৩ মার্চ সকাল ১০টা নাগাদ স্বাভাবিকভাবে একটি শিশু সন্তানের জন্ম দেয় আনোয়ারা বিবি। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই দেখা দেয় বিপত্তি। প্রসূতির জরায়ু উল্টে গিয়ে জন্মস্থান(ভ্যাজাইনা) দিয়ে নেমে আসায় প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে। দ্রুত নামতে থাকা পালস রেট। এর ফলে রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে যায়। সেসময় অস্ত্রপচারের ঝুঁকি না নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওটি-তে নিয়ে গিয়ে প্রসূতিকে অজ্ঞান করে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতিতে( রিপোজিশন অব ইউট্রাস) চিকিৎসা করে ওই প্রসূতির জরায়ু আগের জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন চিকিৎসক রঞ্জন মুস্তাফি। তাতে প্রাণরক্ষা হয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই প্রসূতি। এদিকে স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে খুশি দিনমজুর রসিদুল ইসলাম।
এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান, সদ্যোজাতের জরায়ু স্থান পরিবর্তন করে জন্মস্থানের মধ্যে দিয়ে নেমে আসার ঘটনা সচরাচর ঘটেনা। ওই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর দ্রুত চিকিৎসা না হলে মৃত্যু অবধারিত। এ ক্ষেত্রে ওই চিকিৎসক এবং সহকর্মীদের চেষ্টায় আনোয়ারা বিবি বিপদ মুক্ত করে সুস্থ করে তোলেন।
স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ রঞ্জন মোস্তাফি জানান, জরায়ু নাভির নীচে তলপেটে থাকে। সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির রক্তক্ষরণ হতে থাকলে প্রথমেই রোগীর পেটে হাত দিয়ে দেখে নিতে হয় জরায়ুর অবস্থান ঠিক রয়েছে কিনা। তাছাড়া আস্বাভাবিক রক্তপাতে দ্রুত পালস রেট কমে যাওয়া এবং একটি অঙ্গের স্থান পরিবর্তনের ফলে রোগী স্নায়বিক শকড হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে আনোয়ারার শারীরিক পরিস্থিতি তাই হয়েছিল। আনোয়ারা বিবির চারটি সন্তান রয়েছে। এবারে পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে ওই বিপত্তি ঘটে। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতিতের মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন তিনি। Body:BALURGHATConclusion:BALURGHAT
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.