ETV Bharat / state

উচ্চা গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজোয় মিলন হয় দুই বাংলার

বাংলাদেশ লাগোয়া উচ্চা গোবিন্দপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবছর 66 বছরে পড়ছে । 1953 সাল থেকে হয়ে আসছে এই পুজো ।

Two sides pf Bengal meet at Durgapujo in Uccha Gobindpur, border forces also took part
হিলির উচ্চা গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজোয় মিলন হয় দুই বাংলার, অংশ নেয় দু'দেশের সীমান্তরক্ষীরাও
author img

By

Published : Sep 4, 2020, 6:36 AM IST

Updated : Oct 13, 2020, 8:24 PM IST

হিলি, 31 অগাস্ট : প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে হিলির ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উচ্চা গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দারা । বেশি বাজেটের পুজোর মতো জাঁকজমক না থাকলেও এই পুজো ঘিরে মেতে ওঠে দুই বাংলার মানুষ । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই পুজোয় সমানভাবে অংশ নেন বাংলাদেশের দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের বাসিন্দারাও ।

বাংলাদেশ লাগোয়া উচ্চা গোবিন্দপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এই পুজো এবছর 66 বছরে পড়ছে । স্বাধীনতার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে দু’দেশের সীমান্তে হিন্দু ও মুসলিমরা একসঙ্গে এই পুজো করে আসছে । 1953 সাল থেকে হয়ে আসছে এই পুজো । আগে জ়িরো পয়েন্টে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে সেখানে পুজো হত ৷ যদিও পরে জ়িরো পয়েন্ট থেকে প্রায় 20 মিটার ভারতীয় ভূখণ্ডে সরিয়ে এনে শুরু হয় পুজো । সেই থেকে এলাকার বাসিন্দারা চাঁদা তুলে এই পুজো চালিয়ে আসছেন । বছরের বাকি দিনগুলোতে BSF কড়া নজরদারির চালালেও পুজোর কটা দিন শিথিল করা হয় সেই নিয়ম । পুজোর সময় মণ্ডপ প্রাঙ্গণে স্থানীয় শিল্পীরা নাটক, কীর্তন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন ৷

নবমীর দিন যুগিপর্ব গান পরিবেশিত হয় । এই পুজোকে কেন্দ্র করে গোবিন্দপুরে বসে বিশাল মেলা । পুজো ও মেলা দেখতে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আসেন উচ্চা গোবিন্দপুরে ।

পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, পুজোর জন্য জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক হয়েছে । বৈঠক হয়েছে BSF -এর সঙ্গেও । এবার কোরোনার জন্য বড় করে হয়তো পুজো হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু করা যায় তাঁরা করবেন ।

হিলির উচ্চা গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজোয় মিলন হয় দুই বাংলার, অংশ নেয় দু'দেশের সীমান্তরক্ষীরাও

উচ্চা গোবিন্দপুর সংলগ্ন বাংলাদেশের দামোদরপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলি জানান, ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য তাদের মাঝে সীমানা রয়েছে । তবে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই । দু'দেশের বাসিন্দারা এখানে এক সঙ্গে সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় তাঁরা অন্য জায়গায় গেলেও উচ্চা গোবিন্দপুরেই বেশিরভাগ সময় থাকেন । এখানে সকলে মিলে আনন্দে মেতে ওঠেন । তাঁরাও পুজোর জোগাড় থেকে শুরু করে সব কিছুতে অংশ নেন । হিন্দু ভাইরাও আমাদের সবরকম উৎসবে অংশ নেন । তাঁরা এই পুজোর জন্য বছরভর মুখিয়ে থাকেন । এবিষয়ে উচ্চা গোবিন্দপুরের আর এক বাসিন্দা তন্ময় কুমার মণ্ডল বলেন, পুজোর সব বায়না মোটামুটি হয়ে গেছে । তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা মেনেই পুজো করা হবে । কারণ এবার কোরোনার জন্য বড় করে পুজো করা যাবে না । সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করবেন তাঁরা । পুজোর দিনগুলোতে বাইরে ঠাকুর দেখতে গেলেও গ্রামের বাসিন্দারা বেশি আনন্দ করেন গ্রামের পুজোতেই ।

হিলি, 31 অগাস্ট : প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে হিলির ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উচ্চা গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দারা । বেশি বাজেটের পুজোর মতো জাঁকজমক না থাকলেও এই পুজো ঘিরে মেতে ওঠে দুই বাংলার মানুষ । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই পুজোয় সমানভাবে অংশ নেন বাংলাদেশের দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের বাসিন্দারাও ।

বাংলাদেশ লাগোয়া উচ্চা গোবিন্দপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এই পুজো এবছর 66 বছরে পড়ছে । স্বাধীনতার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে দু’দেশের সীমান্তে হিন্দু ও মুসলিমরা একসঙ্গে এই পুজো করে আসছে । 1953 সাল থেকে হয়ে আসছে এই পুজো । আগে জ়িরো পয়েন্টে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে সেখানে পুজো হত ৷ যদিও পরে জ়িরো পয়েন্ট থেকে প্রায় 20 মিটার ভারতীয় ভূখণ্ডে সরিয়ে এনে শুরু হয় পুজো । সেই থেকে এলাকার বাসিন্দারা চাঁদা তুলে এই পুজো চালিয়ে আসছেন । বছরের বাকি দিনগুলোতে BSF কড়া নজরদারির চালালেও পুজোর কটা দিন শিথিল করা হয় সেই নিয়ম । পুজোর সময় মণ্ডপ প্রাঙ্গণে স্থানীয় শিল্পীরা নাটক, কীর্তন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন ৷

নবমীর দিন যুগিপর্ব গান পরিবেশিত হয় । এই পুজোকে কেন্দ্র করে গোবিন্দপুরে বসে বিশাল মেলা । পুজো ও মেলা দেখতে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আসেন উচ্চা গোবিন্দপুরে ।

পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, পুজোর জন্য জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক হয়েছে । বৈঠক হয়েছে BSF -এর সঙ্গেও । এবার কোরোনার জন্য বড় করে হয়তো পুজো হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু করা যায় তাঁরা করবেন ।

হিলির উচ্চা গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজোয় মিলন হয় দুই বাংলার, অংশ নেয় দু'দেশের সীমান্তরক্ষীরাও

উচ্চা গোবিন্দপুর সংলগ্ন বাংলাদেশের দামোদরপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলি জানান, ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য তাদের মাঝে সীমানা রয়েছে । তবে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই । দু'দেশের বাসিন্দারা এখানে এক সঙ্গে সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় তাঁরা অন্য জায়গায় গেলেও উচ্চা গোবিন্দপুরেই বেশিরভাগ সময় থাকেন । এখানে সকলে মিলে আনন্দে মেতে ওঠেন । তাঁরাও পুজোর জোগাড় থেকে শুরু করে সব কিছুতে অংশ নেন । হিন্দু ভাইরাও আমাদের সবরকম উৎসবে অংশ নেন । তাঁরা এই পুজোর জন্য বছরভর মুখিয়ে থাকেন । এবিষয়ে উচ্চা গোবিন্দপুরের আর এক বাসিন্দা তন্ময় কুমার মণ্ডল বলেন, পুজোর সব বায়না মোটামুটি হয়ে গেছে । তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা মেনেই পুজো করা হবে । কারণ এবার কোরোনার জন্য বড় করে পুজো করা যাবে না । সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করবেন তাঁরা । পুজোর দিনগুলোতে বাইরে ঠাকুর দেখতে গেলেও গ্রামের বাসিন্দারা বেশি আনন্দ করেন গ্রামের পুজোতেই ।

Last Updated : Oct 13, 2020, 8:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.