বালুরঘাট, 3 ডিসেম্বর : প্রসব বেদনা নিয়ে এক যুবতি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । তারপর চিকিৎসক তাঁকে চিকিৎসা না করিয়ে ছেড়ে দেয় । গতকাল এমনই অভিযোগ উঠল বালুরঘাট হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে । গতকাল থেকেই তার রক্তক্ষরণ শুরু হয় । ঘটনার জেরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার । পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় তপন থানার বানিয়াল এলাকার বাসিন্দা ধানি তীরকি নামে 28 বছরের এক যুবতি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন । চিকিৎসা না করিয়ে ছুটি দেওয়া হয় । পরবর্তী 12 ঘণ্টাতেও তিনি হাসপাতালের কোনও চিকিৎসকের চিকিৎসা মেলেনি । এদিকে প্রসব যন্ত্রণা বাড়তেই থাকে ।
অভিযোগ, চিকিৎসা না করিয়ে গতকাল সকালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রশান্ত সরকার ধানিকে ছুটি দিয়ে দেন । রোগীকে হাসপাতালে রাখার জন্য রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিক বার জানানো হয় । কিন্তু হাসপাতালের কেউই তাদের কথা শোনেনি । গতকাল সকালে বাড়ি যাওয়ার পথেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ তুলে রোগীর পরিবারের তরফে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরে ওই যুবতিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । এবিষয়ে প্রসূতির স্বামী পাড়ু টিজ্ঞা বলেন, "প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় স্ত্রীকে ভরতি করাই । কিন্তু কোনও চিকিৎসকই সারারাত তাকে দেখতে আসেনি । উলটে পরের দিন হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয় । স্ত্রীকে হাসপাতালে রাখার জন্য় বহুবার অনুরোধ করি, কিন্তু তারা ছুটি দিয়ে দেয় । বাড়ি যাওয়ার পথেই আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে । তারপর হাসপাতালে ফের নিয়ে যাই । তারপর হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ জানাই । তবে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ।"
অন্যদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, "বহু গ্রামের মানুষ এই পরিষেবা নিতে আসে । এরকম যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তা দুর্ভাগ্যজনক । অভিযোগটি পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখব ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"