গঙ্গারামপুর, 20 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্যজুড়ে যখন শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। ঠিক তখনই গঙ্গারামপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের 'দাবাং'গিরি দেখতে পেলেন জেলাবাসী। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর গ্রামে ঢুকে একদল যুবককে তাড়া করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তিনি কেন তাড়া করলেন?
অভিযোগ, শুকদেবপুরের 174 নম্বর আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন রূপালী রায়। রূপালি রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের নমিনেশন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিতে থাকে। এলাকায় বাইক ও অলটো গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁদের উপর মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি প্রার্থী। এমন ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার শুকদেবপুর এলাকায় ঢুকেই তাড়া করতে থাকে তৃণমূলের যুবকদের দলকে।
অভিযোগ, দু'টি বাইক ও একটি অলটো গাড়ি রেখেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । দু'টি বাইকের মধ্যে একটি বাইক ছিল নম্বরহীন। পুরো ঘটনা নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী রূপালি রায়ের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী মনোনয়ন তোলার হুমকি দেয়। এই খবর পেয়েই এলাকায় তড়িঘড়ি পৌঁছন তিনি-সহ বিজেপির লোকজন। তাঁদের দেখে পালিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপরে ঘটনাস্থলে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'রাজ্যপালের পদটা পদ্মপাল নয়', পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনকে ধিক্কার মমতার
মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে গঙ্গারামপুর বিডিও অফিস চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থীদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তুলে নিয়ে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল, এমন অভিযোগ পেয়ে বিডিও অফিসে যান বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। তিনি গিয়ে দেখেন শুকদেবপুর অঞ্চলের দুই তৃণমূলের নেতা বাইক নিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে রয়েছেন। তাঁদের আটকান বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং কর্মী-সমর্থকরা।