বালুরঘাট, 5 সেপ্টেম্বর : কিশোর খুনের এক মাস পরও অধরা অভিযুক্তরা । বারবার পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি । অবশেষে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে গতকাল বিকেলে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল মৃত কিশোরের পরিবারসহ শতাধিক গ্রামবাসী । এদিকে খুনের ঘটনায় আগেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । এবং পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পুলিশের তরফে বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি ।
প্রতিবেশীদের মধ্যে বচসার জেরে মহিলাকে কটূক্তি করে স্থানীয় কয়েকজন । এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হয় রত্ন বর্মণ (17) নামে এক কিশোরকে । সে স্থানীয় নদীপার এনসি হাইস্কুলে ক্লাস টেনে পড়াশোনা করত । 6 অগাস্ট প্রতিবেশীদের সঙ্গে ওই কিশোরের মা'র বচসা হয় । সেই সময় গালিগালাজ করে প্রতিবেশীরা । খবর পেয়ে ওই কিশোর ও তার বাবা গেলে অভিযুক্তরা কিশোরকে কিল ঘুষি মারে । মোটা বাঁশ দিয়ে ওই কিশোরের মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয় । ঘটনাস্থানেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে । জখম ওই কিশোরকে ওইদিন রাতেই উদ্ধার করে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পথে মৃত্যু হয় তার ।
ওই ঘটনার জেরে পরেরদিন অর্থাৎ 7 অগাস্ট বালুরঘাট থানায় মোট 11 জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা বিপুল বর্মণ । গতকাল তাদেরই গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় । যদিও ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রবীর মণ্ডল, কমল কর্মকার ও পিন্টু দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । কিন্তু খুনের পর প্রায় একমাস হতে চললেও এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা, এই অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হয় । তাদের দাবি, খোলা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা, কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না । পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এবিষয়ে মৃত রত্ন বর্মণের বাবা বিপুল বর্মণ বলেন, আমার ছেলে খুনের প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও পুলিশ মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না । অভিযুক্তরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । আমরা তাদের দেখে পুলিশকে খবর দিলেও আসে না । তাই আমরা প্রতিবেশীরা মিলে থানায় এসেছি । যাতে তাড়াতাড়ি পুলিশ ব্যবস্থা নেয় । এছাড়াও আমরা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দিয়েছি । মঙ্গলবার সুপারের সাথে দেখা করে পুরো ঘটনাটি জানাব ।
অন্যদিকে DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র বলেন, "আঁখিরা পাড়ার ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে । তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট খুব তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে । ঘটনার তদন্ত চলছে । বাকিরা দোষি প্রমাণিত হলে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে ৷"