বালুরঘাট, 26 নভেম্বর : দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল গতকাল । তাঁর নাম শঙ্কর বর্মণ (41) ৷ তিনি বালুরঘাটের চেঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুরের বাসিন্দা ছিলেন ৷ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷
প্রায় আড়াই বছর আগে কলপাড়ে পড়ে গিয়ে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন শঙ্করবাবু । সংসারে আর্থিক অনটন থাকায় চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছিল তার পরিবার । চিকিৎসার জন্য বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছিল ৷ শঙ্করবাবুর স্ত্রী লিপিকা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী । তাঁর বেতন মাসে মাত্র সাড়ে ছ'হাজার টাকা । এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার অভাবে মাসখানেক আগে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্করবাবু । পরিবারের অনুমান, সংসারে আর্থিক অনটন বেড়ে যাওয়ায় ও ঠিকমতো চিকিৎসা না হওয়ায় হতাশায় শঙ্করবাবু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।
শঙ্করবাবুর দাদা কমল বর্মণ ও প্রতিবেশী নারায়ণ মুর্মু জানান, বালুরঘাট হাসপাতালে ও পরে বাড়িতে কবিরাজি চিকিৎসা করিয়েছিলেন শঙ্করবাবু । কিন্তু তাতে সেরকম লাভ হয়নি । মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ।
বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় । আজ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে ।