ETV Bharat / state

ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার পক্ষাঘাতের রোগী - চেঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুরের খবর

গতকাল ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল শঙ্কর বর্মণ (41)- এর দেহ ৷ তিনি বালুরঘাটের চেঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুরের বাসিন্দা ছিলেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।

Paralysis patient found dead in balurghat, south dinajpur
ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার পক্ষাঘাতের রোগী
author img

By

Published : Nov 26, 2019, 8:44 PM IST

বালুরঘাট, 26 নভেম্বর : দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল গতকাল । তাঁর নাম শঙ্কর বর্মণ (41) ৷ তিনি বালুরঘাটের চেঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুরের বাসিন্দা ছিলেন ৷ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷

প্রায় আড়াই বছর আগে কলপাড়ে পড়ে গিয়ে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন শঙ্করবাবু । সংসারে আর্থিক অনটন থাকায় চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছিল তার পরিবার । চিকিৎসার জন্য বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছিল ৷ শঙ্করবাবুর স্ত্রী লিপিকা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী । তাঁর বেতন মাসে মাত্র সাড়ে ছ'হাজার টাকা । এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার অভাবে মাসখানেক আগে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্করবাবু । পরিবারের অনুমান, সংসারে আর্থিক অনটন বেড়ে যাওয়ায় ও ঠিকমতো চিকিৎসা না হওয়ায় হতাশায় শঙ্করবাবু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।

শঙ্করবাবুর দাদা কমল বর্মণ ও প্রতিবেশী নারায়ণ মুর্মু জানান, বালুরঘাট হাসপাতালে ও পরে বাড়িতে কবিরাজি চিকিৎসা করিয়েছিলেন শঙ্করবাবু । কিন্তু তাতে সেরকম লাভ হয়নি । মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ।

বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় । আজ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে ।

বালুরঘাট, 26 নভেম্বর : দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল গতকাল । তাঁর নাম শঙ্কর বর্মণ (41) ৷ তিনি বালুরঘাটের চেঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুরের বাসিন্দা ছিলেন ৷ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷

প্রায় আড়াই বছর আগে কলপাড়ে পড়ে গিয়ে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন শঙ্করবাবু । সংসারে আর্থিক অনটন থাকায় চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছিল তার পরিবার । চিকিৎসার জন্য বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছিল ৷ শঙ্করবাবুর স্ত্রী লিপিকা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী । তাঁর বেতন মাসে মাত্র সাড়ে ছ'হাজার টাকা । এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার অভাবে মাসখানেক আগে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্করবাবু । পরিবারের অনুমান, সংসারে আর্থিক অনটন বেড়ে যাওয়ায় ও ঠিকমতো চিকিৎসা না হওয়ায় হতাশায় শঙ্করবাবু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।

শঙ্করবাবুর দাদা কমল বর্মণ ও প্রতিবেশী নারায়ণ মুর্মু জানান, বালুরঘাট হাসপাতালে ও পরে বাড়িতে কবিরাজি চিকিৎসা করিয়েছিলেন শঙ্করবাবু । কিন্তু তাতে সেরকম লাভ হয়নি । মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ।

বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় । আজ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে ।

Intro:আর্থিক অনটনের জেরে চিকিৎসা করাতে না পারায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী প্যারালাইসিস রোগী।।

বালুরঘাট, ২৬ নভেম্বর: দীর্ঘ দিন ধরে প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন। শরীরের এক সাইড অসার হয়ে গেছিল। হাঁটা চলার ক্ষমতাটুকুও ছিল না। আর্থিক অনটনের জন্য চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছিল স্ত্রী। অবশেষে পরিবারকে নিস্তার দিতে গতকাল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় শঙ্কর বর্মণ(৪১) নামে এক ব্যক্তি। বাড়ি বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুর এলাকায়। পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

জানা গেছে, চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদীপুর এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর বর্মণ। পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী। স্ত্রী লিপিকা বর্মণ। স্ত্রী ছাড়াও বাড়িতে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। স্ত্রী ছেলে মেয়েদের নিয়ে সুখেই সংসার চলছিল। প্রায় বছর আড়াই আগে হঠাৎই একদিন কলপাড়ে পরে যান শঙ্করবাবু। এরপরই অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। অসার হয়ে যায় শরীরের এক পাশ। বাঁ হাত ও পা নড়াচড়া করতে পারতেন না। এদিকে সংসারে আর্থিক অনটন থাকায় বাইরে গিয়েও চিকিৎসা করাতে পারেন নি তিনি। বালুরঘাট ও কবিরাজি করতেই নিজের শেষ সম্বল ভিটে মাটি বন্ধক রাখেন তিনি। মাস নয়েক আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অস্থায়ী কাজে যোগ দেন শঙ্করবাবুর স্ত্রী লিপিকাদেবী। সাড়ে ছয় হাজার টাকার বেতনে সংসার কোন রকমে চলছিল। সেখানে স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারেননি সে ভাবে। এদিকে মাস খানেক আগে থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পরেন শঙ্কর বর্মণ। বিছানাতেই শৌচকর্ম করতেন। চিকিৎসা না করাতে পাড়া ও স্ত্রীর চাপ বেরে যাওয়ায় গতকাল দুপুরে স্ত্রী কাজ থেকে বাড়ি ফেরার আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। স্ত্রী বাড়ি ফেরার পর বিষয়টি নজরে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্য দিকে ঘটনাস্থল থেকে পাস থেকে চেয়ার ও টুল উদ্ধার করে। চিকিৎসা করাতে না পারায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শঙ্করবাবু। তার জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

এবিষয়ে মৃতের দাদা কমল বর্মণ ও প্রতিবেশী নারায়ণ মুরমু জানান, আড়াই বছর আগে পরে গিয়ে শরীরের এক পাস অসার হয়ে পরেছিক শঙ্করের। আর্থিক ভাবে দুর্বল থাকায় সে ভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি। তবে বালুরঘাট ও কবিরাজি চিকিৎসা করিয়েছিলেন। চিকিৎসা করার টাকা না থাকায় এক রকম মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন তিনি। এর মধ্যে শেষ এক মাসে আরও অসুস্থ হয়ে পরলে গতকাল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। হাঁটা চলা করতে না পারায় বিছানার উপর চেয়ার ও তার উপর টুলে উঠে গলায় ফাঁস দেন।

অন্য দিকে বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। আজ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা। Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.