কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: প্যারা অলিম্পিকসে অংশগ্রহণকারী সাঁতারুকে চাকরি না-দিয়ে তা অন্য একজনকে দেওয়ায় মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে । এই বিষয়ে বুধবার উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে অবিলম্বে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court Ordered to North Dinajpur DM on Para Olympics Swimmer Job Issue)।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2012 সালে প্যারা অলিম্পিকসে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন উত্তরবঙ্গের ছেলে দিবাকর কুন্ডু । পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ক্রীড়াবিদ সম্মানে সম্মানিত করা হয় । কিন্তু সেই রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরে যোগ্যপ্রার্থী হয়েও তাঁকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দিবাকর (Para Olympics Swimmer Job Issue)।
এই মামলার শুনানিতে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur News)জেলাশাসককে অবিলম্বে তার অভিযোগ খতিয়ে দেখে যদি কোথাও মনে হয় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তারও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
আরও পড়ুন : 2014 সালের 23 প্রার্থীকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বুধবার বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন জাতীয় সাঁতারু দিবাকর কুন্ডুর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, "প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে প্যারা অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করেছিলেন দিবাকর । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসাবে সম্মানিত করা হয় । কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় একাধিক সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও উত্তর দিনাজপুর ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি সেই সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে তাঁকে। প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে মেধা তালিকা প্রকাশ না করেও নিয়োগ হয়েছে ৷ এমনকি তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হলেও কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি । একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাঁকে ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি ।"
আরও পড়ুন : নিয়োগ কমিটির অনুমোদন ছাড়া আর চাকরি নয়, কড়া নির্দেশ মমতার
জাতীয় প্যারা অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করার জন্য 2015 সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দিবাকর কুণ্ডুকে মেধাবী ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসাবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় ৷ 2018 সালে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে সেখানে দিবাকর কুণ্ডুও আবেদন জানান ।
তবে ওই নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারি নির্দেশিকা মেনে ক্রীড়াবিদদের অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং পরীক্ষার অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ না করা এইরকম একাধিক অসংগতি দেখতে পান তিনি । রাজ্য সরকারের শ্রম দফতরের গেজেট নোটিফিকেশন না মানা এবং প্রাপ্ত নম্বর সমেত মেধাতালিকা প্রকাশ না করারও অভিযোগ করেন ৷ বারবার তথ্যের অধিকার আইন (RTI) আবেদনে সর্বনিম্ন নম্বর পাওয়া নামের তালিকা না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় রাজ্যের, হাইকোর্টে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল