ETV Bharat / state

দুই প্রধানের বিবাদে গঙ্গারামপুরে থমকে নাগরিক পরিষেবা - gangarampur municipality

গঙ্গারামপুর পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধানকে অপসারণের পর থেকে থমকে নাগরিক পরিষেবা ।

গঙ্গারামপুর পৌরসভা
author img

By

Published : Jul 10, 2019, 3:36 PM IST

গঙ্গারামপুর, 10 জুলাই: গঙ্গারামপুর পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধানকে অপসারণের পর থেকে থমকে নাগরিক পরিষেবা । পুর আইন অনুযায়ী, দিন কয়েক আগেই ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাঁদের নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার কাজে গড়িমসি করতেন ভাইস চেয়ারম্যান । কিন্তু এখন পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান না-থাকার কারণে কোনও কাজ হচ্ছে না । জনৈক মহিলা জানান, '' লেবার কার্ড করাতে ভাইস চেয়ারম্যানের সই প্রয়োজন । কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে বসে থেকেও কাজ হল না ।'' তাঁর মতো সকলেরই প্রশ্ন '' সমস্যার সমাধান হবে কবে? ''

গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, "গত বৃহস্পতিবার সরকারি নিয়ম মেনে পুর-আইন অনুযায়ী আমি ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি । গত কয়েকদিন ধরেই ভাইস চেয়ারম্যান পৌরসভায় অচলাবস্থা তৈরি করে রেখেছেন । এর ফলে এলাকাবাসীর উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কাজের জন্য যাঁরা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে আসতেন, তাঁদের সঙ্গেও উনি খারাপ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ । এলাকার মানুষ ওঁর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করতেন । ভাইস চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি পুরবাসী ।"

গত 25 জুন দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় । পাশাপাশি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ভাইস চেয়ারম্যান সহ 9 জন কাউন্সিলর । এরই মধ্যে পৌরসভার রাশ নিজের হাতে রাখতে ভাইস চেয়ারম্যানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রতিনিধির বিবাদে থমকে রয়েছে পৌরসভার কাজ ।

গঙ্গারামপুর, 10 জুলাই: গঙ্গারামপুর পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধানকে অপসারণের পর থেকে থমকে নাগরিক পরিষেবা । পুর আইন অনুযায়ী, দিন কয়েক আগেই ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাঁদের নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার কাজে গড়িমসি করতেন ভাইস চেয়ারম্যান । কিন্তু এখন পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান না-থাকার কারণে কোনও কাজ হচ্ছে না । জনৈক মহিলা জানান, '' লেবার কার্ড করাতে ভাইস চেয়ারম্যানের সই প্রয়োজন । কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে বসে থেকেও কাজ হল না ।'' তাঁর মতো সকলেরই প্রশ্ন '' সমস্যার সমাধান হবে কবে? ''

গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, "গত বৃহস্পতিবার সরকারি নিয়ম মেনে পুর-আইন অনুযায়ী আমি ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি । গত কয়েকদিন ধরেই ভাইস চেয়ারম্যান পৌরসভায় অচলাবস্থা তৈরি করে রেখেছেন । এর ফলে এলাকাবাসীর উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কাজের জন্য যাঁরা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে আসতেন, তাঁদের সঙ্গেও উনি খারাপ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ । এলাকার মানুষ ওঁর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করতেন । ভাইস চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি পুরবাসী ।"

গত 25 জুন দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় । পাশাপাশি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ভাইস চেয়ারম্যান সহ 9 জন কাউন্সিলর । এরই মধ্যে পৌরসভার রাশ নিজের হাতে রাখতে ভাইস চেয়ারম্যানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রতিনিধির বিবাদে থমকে রয়েছে পৌরসভার কাজ ।

Intro:দার্জিলিং, ০৯ জুলাই : শৈলশহর দার্জিলিংয়েই সুরক্ষিত নন সিস্টার নিবেদিতা । কেননা, দার্জিলিংয়ের মূর্দ্দাহাটিতে ভাগিনী নিবেদিতার সমাধিস্থল । ঐতিহাসিক এই সমাধিটির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা । যেকোনও সময়ে ঐতিহাসিক এই স্থানটি ভূমিকম্প, ধস বা কোনোও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই স্তম্ভটি ধ্বংস হওয়ার আশংকা রয়েছে । Body:
সিস্টার নিবেদিতার ইচ্ছে অনুযায়ী ১৯১১ সালের ১৩ অক্টোবর তাঁর মৃতদেহটি মুর্দাহাটিতে দাহ করা হয় । এরপর ১৯২৫ সালে স্বামী অভেদানন্দজী এখানে নিবেদিতার স্মৃতি -স্তম্ভ নির্মাণ করেন । এই স্তম্ভটির উপর লেখা '' এখানে ভাগিনী নিবেদিতা শান্তিতে নিদ্রিত -যিনি ভারতবর্ষকে তাঁহার সর্বস্ব অর্পর্ণ করেছিলেন । ' ' এই শ্মশানে বিখ্যাত লেখক ও ভাষাবিদ রাহুল সংকৃত্যায়ন সহ বহু বিখ্যাত মানু্ষের সমাধি রয়েছে । দার্জিলিংয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও দার্জিলিং জেলের পাশ দিয়ে বা পুরানো মাল বহনকারী রোপওয়ের নিচ দিয়ে বুচারবস্তি হয়ে মূর্দ্দাহাটি শ্মশানে যাওয়া যায় । এই মূর্দ্দাহাটিতে ভাগিনী নিবেদিতার সমাধির রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করে । সেই অর্থ এসে পরে থাকলেও কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ । দার্জিলিংয়ে রামকৃষ্ণ মিশন নিবেদিতা শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের সম্পাদক স্বামী নিত্যসত্যানন্দ বলেন, দার্জিলিংয়ে শহরের সঙ্গে ভাগিনী নিবেদিতার জীবনের স্মৃতি জড়িত । শেষবার তিনি দার্জিলিংয়ে আসেন ১৯১১ সালে । সেইবারেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দার্জিলিংয়ের রায় ভিলাতে । দার্জিলিংয়ের লেবং কার্ট রোডের ধারে এই রায়ভিলাই এখনকার রামকৃষ্ণ মিশন নিবেদিতা শিক্ষা ও সাংস্কৃতি কেন্দ্র । প্রতিদিন বহু মানুষ -পর্যটক এই কেন্দ্রে আসেন । তাঁদের অনেকেই মূর্দ্দাহাটিতে বৌদ্ধ -হিন্দু শ্মশানে গিয়ে সিস্টার নিবেদিতার সমাধিস্থল দেখতে যান । এদিকে এই শ্মশানঘাট সংস্কার এবং এটিকে নিবেদিতা শ্মশানঘাট নাম দেওয়ার একটি পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি শুনতে পেরেছেন । তবে এজন্য অর্থ এসে পরে থাকলেও কাজ শুরু হয়নি কেন তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারাই সঠিক তথ্য দিতে পারবেন বলে জানান তিনি ।

Conclusion:

এনিয়ে দার্জিলিংয়ের মহকুমা শাসক কৌশিক সিনহা বলেন, অর্থ এসে পড়ে থাকলেও কাজ কেন শুরু হয়নি তা নিয়ে যা বলার জিটিএ বা পৌরসভার কর্মকর্তারাই বলতে পারবেন । যদিও দার্জিলিং পৌরসভার প্রশাসক বা দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত জেলা শাসক ময়ূরী বসু এনিয়ে কোনোও মন্তব্য করতে রাজি হননি । জিটিএ -এর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিত থাপা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিবেন তিনি জানিয়েছেন ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.