বংশীহারি, 4 অগাস্ট : বংশীহারির টাঙ্গন নদীতে খেয়া পারাপার করতে গিয়ে ডিঙ্গি নৌকা উলটে নদীর জলে তলিয়ে যায় দাদু ও নাতি । বর্ষার জলে ভরতি টাঙ্গন নদীতে উদ্ধার কার্য করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে । ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও ডুবুরির মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় 20 ঘণ্টা পর উদ্ধার করা সম্ভব হয় ।
গতকাল বংশীহারি ব্লকের শিশুপুকুর এলাকায় গ্রামের আট জন মিলে একত্রে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে টাঙ্গন নদী পারাপার করতে যায় ৷ সেই সময় মাঝ নদীতে উলটে যায় ডিঙ্গি নৌকাটি । ঘটনায় ছয় জন সাঁতরে প্রাণে বাঁচলেও বর্ষার গভীর জলে তলিয়ে যায় দাদু মুন্ডা সোরেন ও নাতি আকাশ হাঁসদা । ঘটনার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জল বাহিনীর সদস্যরা একত্রে টাঙ্গন নদীতে চিরুনি তল্লাশি চালানোর পর আজ সকালে উদ্ধার হয় দাদু মুন্ডা সোরেন ও নাতি আকাশ হাঁসদার মৃতদেহ । সেই জন্য গঙ্গারামপুর মহকুমার বিভিন্ন ফেরিঘাট গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।
এই বিষয়ে বংশীহারি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মনোজিত সরকার জানান, গতকাল টাঙ্গন নদী পারাপারের সময় মাঝ নদীতে উলটে যায় আট জন যাত্রী বোঝাই ডিঙ্গি নৌকাটি । ঘটনায় তলিয়ে যায় দাদু মুন্ডা সোরেন ও নাতি আকাশ হাঁসদা । আজকে তাদের দেহ দুটি সকালে ভেসে উঠে নদী থেকে অনেকটা দূরত্বে । থানার পক্ষ থেকে দেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রসিদপুর হাসপাতালে । এরপর ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট মর্গে ।