গঙ্গারামপুর, 10 ডিসেম্বর: কম্পিউটারের কাজ, সঙ্গে প্রচুর বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরব দেশে নিয়ে গিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে নির্মাণ শ্রমিকের। তারই প্রতিবাদ করায় দক্ষিণ দিনাজপুরের 13 জন শ্রমিককে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। শনিবার ওই শ্রমিকরা এক ভিডিয়ো বার্তায় পরিবারের কাছে দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন। এই বার্তা পাওয়ার পরেই ওই শ্রমিকদের পরিবারগুলি রবিবার বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে গিয়ে ওই শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছে। সুকান্তবাবু এ নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কাজে যান। জেলারই এক এজেন্টের মাধ্যমে তারা শারজা গিয়েছিলেন। তাদের পরিবারের অভিযোগ, দৈনিক প্রায় 1000 টাকার মজুরিতে তাঁদের কম্পিউটারের কাজে লাগানো হবে বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত মাস থেকেই শ্রমিকরা যেতে শুরু করেন। গত 5 ডিসেম্বরও জেলার কয়েকজন শ্রমিক শারজায় পৌঁছন। কিন্তু তাঁদের কম্পিউটারের কাজের বদলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়। দিনে প্রায় 10-12 ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছিল তাঁদের।
দু'একদিন কাজ করেই এই শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসেন। এরপর তাঁদের শারজা থেকে আবুধাবি নিয়ে গিয়ে ওই সংস্থা একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। ওই 13 জন শ্রমিককে শুধু ঘরের মধ্যে আটকে রাখাই নয়, তাঁদের খাবার বা অন্যান্য খরচও দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে তাঁদের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ মাথা পিছু 1 লক্ষ টাকা চাইছে আরবের এক নির্মাণ সংস্থা। অসহায় ওই শ্রমিকরা এবার ভিডিয়ো বার্তায় তাঁদের পরিবারের কাছে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ভিডিয়ো বার্তায় শ্রমিকরা বলেন, "একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে তাঁদের 13জনকে আটকে রাখা হয়েছে। খাবার, ওষুধ-সহ অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকার করছে আরবের ওই সংস্থা।"
এবিষয়ে এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য লক্ষ্মী সরকার বলেন, "আমার ছেলে গত কয়েকদিন আগে নালাগোলা এবং পাকুয়া জেলার দু'জন দালালের মারফৎ দুবাইয়ে কম্পিউটারের কাজ দেবে বলে নিয়ে যায়। তারা এখন ওখানে আটকে ৷ সেই কারণে আমরা বালুরঘাটের সাংসদ তথা সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হই ৷"এবিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "খুব শীঘ্রই বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সকলকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করব।
আরও পড়ুন: