রায়দিঘি (দক্ষিণ 24 পরগনা), 13 অক্টোবর: স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী হয়েছেন এক যুবক ! দক্ষিণ 24 পরগনার রায়দিঘি থানা এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ৷ নিহতের নাম বিজন পাইক ৷ বছর পঁচিশের এই যুবক রায়দিঘির ইস্তারণপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে দীর্ঘক্ষণ বিজনের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি ৷ অনেক ডাকাডাকিতেই তিনি কোনও উত্তর দেননি ৷ তাই দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা ৷ তখনই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷ পরিবারের তরফে পুরো ঘটনার দায় চাপানো হয়েছে মৃতের স্ত্রীর উপর ৷ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে তাঁদের দাবি ৷ সেই কারণে স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করে ছেলেটি আত্মঘাতী হয় বলে অভিযোগ পরিবারের ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজনের প্রেমের বিয়ে ৷ প্রায় আট বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি ৷ পাঁচ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁদের ৷ বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা মনোমালিন্য চলছিল । পুত্রসন্তানকে বিজনের কাছে রেখে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি । তার পর অনেক চেষ্টা করেও তিনি স্ত্রীকে বাড়িতে ফেরাতে পারেননি ৷
বিজনের পরিবারের দাবি, যাওয়ার আগে বিজনের স্ত্রী একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে 70 হাজার টাকার ঋণ নিয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার বিকালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোকেরা বিজনকে অফিসে ডেকে পাঠান ৷ তিনি তাঁর ঠাকুমার সঙ্গে সেখানে যান । সেখানে গিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন উপস্থিত রয়েছেন । অভিযোগ, জোর করে বিজন ঋণ নিয়েছে বলে একটি কাগজে সই করিয়ে নেন তাঁর স্ত্রী ও বাপের বাড়ির লোকজন । এরপর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন৷ তার পরই রাতে আত্মঘাতী হন ৷
পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিজন ও তাঁর স্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে যে তিনি স্ত্রীকে ফিরে আসতে বারবার অনুরোধ করেন ৷ কিন্তু স্ত্রী ফিরে আসতে রাজি ছিলেন না ৷ বিজন আত্মহত্যার হুমকিও দেন ৷ তাতেও ওই তরুণীর কোনও হেলদোল দেখা যায়নি ৷ বরং আত্মহত্যায় উস্কানিমূলক কথা মেসেজে লেখেন ৷
পুলিশ এই নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ ৷ তারা জানিয়েছে,একটা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে । থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা । পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে যুবকের মৃতদেহ, খুন না আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ