ডায়মন্ড হারবার, 18 মার্চ : স্বামী উভকামী । রাতে শোওয়ার ঘরে বন্ধুকে ঢুকিয়ে দেন স্বামী নিজেই । বিছানার মাঝখানে স্ত্রীকে শুতে দেন, আর তাঁর পাশে বন্ধুকে । প্রেমিককে বিয়ের আগে ভাই পরিচয় দিয়ে বাড়িতে রেখেছিলেন স্বামী(Wife sexually abused by husband and his male lover)। এরপর স্ত্রীকেও সেই পুরুষ প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের জন্য স্বামী জোর করত বলে অভিযোগ । প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের এমন কাণ্ডে চক্ষু চড়কগাছ ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকের বাসিন্দাদের ।
জানা গিয়েছে, স্বামী ও তার পুরুষ প্রেমিকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিতা ওই মহিলা । ইতিমধ্যেই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শুভঙ্কর জানা । তিনি স্থানীয় ধনবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক ধনঞ্জয়ের বাড়িতে থাকতেন ।
আরও পড়ুন : Sexual Abuse of A Minor Girl : কৃষ্ণনগরে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, অভিযুক্ত বাবা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিরিশের ওই নির্যাতিতা মহিলার বাপের বাড়ি ফলতার দিঘিরপাড়ে । গত 8 মাস আগে ধনঞ্জয় দাসের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল । মহিলা পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী । ধনঞ্জয় পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক । মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামীর প্রেমিক ও স্বামী এক সঙ্গে ওই গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন করত । পাশবিক অত্যাচার থেকে বাঁচতে ওই মহিলা পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন । প্রথমে ভূষণা মহিলা সমিতির দ্বারস্থ হন । এরপরই বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযুক্ত স্বামী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা । এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে । এদিন মহিলার পাশে দাঁড়াতে থানায় হাজির হয়েছিলেন মহিলা সমিতির সম্পাদক রামিয়া সিপাই এবং ডায়মন্ড হারবার 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন ।
আরও পড়ুন : Minor Sexual Abuse in Bhangar : প্রতিবেশী দাদার যৌন লালসার শিকার হল তৃতীয় শ্রেণির খুদে
ডায়মন্ড হারবার 2 নম্বর তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন জানান, যে পাশবিক অত্যাচারের কথা নির্যাতিতা জানিয়েছেন তা নির্মম এবং অমানবিক । আমি চাই অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক । তবে নির্যাতিতার স্বামী ধনঞ্জয় দাস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, "স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত। টাকা পয়সার ভাগ চাইত । না দেওয়াতে সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে ।"