কুলতলি, 19 মে : বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে ৷ মৃতার নাম অর্চনা হালদার (22) ৷ তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, পণের দাবিতে খুন করা হয়েছে অর্চনাকে ৷ মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে (Woman Killed for Dowry at Kultali) ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, 7 বছর আগে বারুইপুর থানর অন্তর্গত ঘোলাদোলতলা গ্রামের বাসিন্দা অর্চনার সঙ্গে বিয়ে হয় কুচিয়ামারা গ্রামের বাসিন্দা পলাশ হলদারের ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চলত অত্যাচার ৷ যৌতুক এবং টাকার দাবিতে তাদের বধূর উপর চাপ সৃষ্টি করা হত ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চাপ আরও বাড়তে থাকে ৷ প্রায়শই বাপেরবাড়ি থেকে টাকা এনে শ্বশুরবাড়ির লোকের হাতে তুলে দিত অর্চনা ৷
আরও পড়ুন: House Wife Death : পণের দাবিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
পরিবারের পক্ষ থকে জানানো হয়েছ, সম্প্রতি প্রায় 12 দিন আগে ওই গৃহবধূকে অমানুষিকভাবে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ সেইসময় টাকা এনে দিলে সাময়িকভাবে সমস্যার সামাধান হয় ৷ বুধবার ফের ওই গৃহূবধূর উপর অত্যাচার চালায় তার স্বামী ও শাশুড়ি ৷ মারধরের পর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পরিবারের পক্ষ থেকে ৷ বৃহস্পতিবার সকালে বধূকে উদ্ধার করে ক্য়ানিং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ এরপরে গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এসে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে ৷