ডায়মন্ড হারবার, 18 অক্টোবর : নিম্নচাপের জেরে রবিবার রাতভর দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা ৷ বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও ৷ সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট অনেকটাই বেশি ৷ ফলে উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও দুর্যোগের আশঙ্কায় শঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁরা বলছেন, গত দু’দিন ধরে দফায় দফায় চলছে বৃষ্টি ৷ যার জেরে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমার নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷
রবিবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়েছে ৷ রবিবার সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় 40 থেকে 50 কিলোমিটার ৷ যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগেই তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ দুর্যোগের সম্ভাবনায় এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রয়োজনে নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপ, ঘোড়ামারা ও মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন : Weather Forecast : দুর্যোগের আশঙ্কা, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ
নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বকখালি, নামখানা, মৌসুনি দ্বীপের পর্যটকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ পর্যটকরা যাতে জলে না নামেন, সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন ৷ ইতিমধ্যেই বহু বন্যা ত্রাণশিবির খুলে দেওয়া হয়েছে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীগুলির বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে ৷ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে লাগাতার মাইকিং চালানো হচ্ছে ৷ যেকোনও পরিস্থিতির জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Weather Forecast: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি, দুর্যোগের ভ্রূকুটি লক্ষ্মীপুজোতেও
এদিকে, দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বসত এলাকাগুলি ৷ ফলে বিপাকে পড়েছে আমজনতা ৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশিব্যবস্থার জন্যই এই এলাকায় দ্রুত জল জমে যায় ৷ অন্যদিকে, বারবার বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল ৷ ফলে শাক, সবজি, আনাজের জোগান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকছে, তেমনই বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা ৷ অন্যদিকে, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে ৷ তাই দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন ৷