কাকদ্বীপ, 14 জানুয়ারি: জমে উঠেছে গঙ্গাসাগর মেলা ৷ রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান ৷ এদিকে তার আগে ভোগান্তির শিকার গঙ্গাসাগরে আশা ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীরা ৷ গঙ্গাসাগরে আসার সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে আটকে গেল তীর্থযাত্রী বোঝাই ভেসেল ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল 5.20 মিনিট নাগাদ 400 জন যাত্রী নিয়ে কাকদ্বীপের লট নম্বর 8 ভেসেল ঘাট থেকে একটি ভেসেল কচুবেড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ এরপরই সেটি মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখানের চরে আটকে যায় ৷ 30 মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ভেসেলটি চরে আটকে থাকে ৷ স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভেসেলটিতে থাকা পুণ্যার্থীরা ৷
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই খবর পৌঁছনো মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ কাকদ্বীপ লট নম্বর 8 ভেসেল ঘাট থেকে রওনা দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি স্পিডবোট ৷ এছাড়া যাত্রীদের অন্য একটি ভেসেলে তুলে পার করার জন্য সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও পৌঁছয় ৷
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের তৎপরতায় ওই ভেসেলে থাকা 400 জন পুণ্যার্থীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় ৷ তবে এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ গঙ্গাসাগর মেলার আগে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধের কথা মাথায় রেখে মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্যতা বৃদ্ধির কাজ করে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ৷ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ড্রেজিং করা হয় মুড়িগঙ্গা নদীতে ৷ এদিকে একের পর এক ভেসেল আটকে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কচুবেড়িয়ার দিকে চর তৈরি হয়েছে ৷ তার কারণ বাংলাদেশের ডুবন্ত জাহাজ বলেই জানিয়েছিলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: