ডায়মন্ড হারবার, 9 জুলাই : নেপালে কাজ করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু দক্ষিণ 24 পরগনার সংগ্রামপুরের বাসিন্দা আব্দুল রহিম গাজি নামে এক যুবকের ৷ 22 দিন আগে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয় ৷ আজ 22 দিন পর কফিন বন্দি দেহ ফিরল বাড়িতে ৷ যাঁদের সঙ্গে তিনি নেপালে গিয়েছিলেন, সেই যুবকদের দাবি রহিম গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ যদিও পরিবার সেই দাবি মানতে নারাজ ৷ তাঁদের অভিযোগ আব্দুল রহিম গাজিকে খুন করা হয়েছে ৷ ডায়মন্ড হারবার থানায় খুনের অভিযোগও দায়ের করেছে মৃতের পরিবার ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
কয়েকমাস আগে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবকের সঙ্গে নেপালে এসি মেশিন সারানোর কাজের জন্য নেপাল গিয়েছিলেন আব্দুল রহিম গাজি ৷ কিন্তু, 22 দিন আগে নেপাল থেকে সংগ্রামপুরের বাড়িতে ফোন আসে, তাঁদের ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ কিন্তু, কেন আত্মহত্যা করলেন রহিম ? এ নিয়ে কোনও তথ্য পরিবারকে জানালো হয়নি নেপাল পুলিশের তরফে ৷ এমনকি রহিমের সঙ্গে থাকা বাকি যুবকরাও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি ৷ যার পরেই তাঁরা ডায়মন্ড হারবার থানায় খুনে অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার ৷
আরও পড়ুন : নিউটাউনে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, খুন নাকি আত্মহত্যা ?
অন্যদিকে, নেপাল থেকে রহিমের দেহ ফেরাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে ৷ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে দেহ ফেরানোর টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ছিল ৷ শেষে গ্রামবাসীরা সবাই মিলে সাহায্য করে আব্দুল রহিম গাজির দেহ গ্রামে ফেরানোর ব্য়বস্থা করে ৷ মোট 1 লাখ 60 হাজার টাকা খরচ করে আজ সকালে রহিমের দেহ কলকাতা হয়ে সংগ্রামপুরে কচুয়া মোড়ে তাঁর বাড়িতে পৌঁছায় ৷ এই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ৷