পাথর প্রতিমা, 1 নভেম্বর: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের প্রতিনিয়ত জলে কুমির ও ডাঙায় বাঘের সঙ্গে লড়াই করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সুন্দরবনের বেশিরভাগ মানুষই বেঁচে থাকার জন্য মাছ ধরার পেশায় যুক্ত। তাই এই জল-জঙ্গলে ভরা পরিবেশে মাঝে মাঝেই তাঁদের বিপদের সম্মুখীন হতে হয় ৷ অতীতে অনেকেই বাঘের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন মাছ ধরতে গিয়ে ৷
সম্প্রতি, মাছ ধরতে গিয়ে আবারও বাঘের হামলায় জখম এক মহিলা মৎস্যজীবী। তাঁর নাম কাজল মল্লিক (৪০) ৷ তিনি পাথরপ্রতিমার সত্য দাসপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার ৬ জনের একটি মৎস্যজীবীদের দল নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের খাঁড়িতে মাছ ও কাঁকড়া ধরার জন্য বেরিয়ে ছিল। ওই দলে কাজল ও তাঁর স্বামী সুবল-সহ আরও ৪ জন ছিলেন। রবিবার যখন কলস দ্বীপের জঙ্গলে বগের খালে রাতে সবাই মিলে খাবার খাচ্ছিলেন সেই সময় হঠাৎ অন্ধকারের মধ্যে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে দক্ষিণরায়।
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের বাদ দিতে চেয়ে বিতর্কে দিলীপ, কটাক্ষ কুণালের
একলাফ দিয়ে সে নৌকায় উঠে পড়ে। কাজলের দুটি হাতে, মাথায় ও গালে থাবা বসায় বাঘটি। সঙ্গে সঙ্গে কাজলের স্বামী সুবল এবং তাঁর সঙ্গীরা লাঠি ও কাঁকড়া ধরার গাঁইতি নিয়ে পাল্টা বাঘের উপর হামলা করলে ভয় পেয়ে সেটি জঙ্গলে ঢুকে যায়। তবে এই ঘটনায় কাজল গুরুতর আহত হন । সেই রাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় কাজলকে নিয়ে তাঁর স্বামী সুবল এবং সঙ্গীরা নৌকাতে করে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা হন। আপাতত পাথরপ্রতিমা ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কাজল।
সম্প্রতি,সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে পাথরপ্রতিমা পশ্চিম দ্বারিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা শংকর ভক্তার (২১) ৷ শনিবার সন্ধ্যা ওই গ্রামের আরও এক বাসিন্দা পঞ্চানন ভক্তাও জখম হয়েছেন বাঘের আক্রমণে। তিনি আপাতত কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বাঘের হামলায় আরও এক মহিলা মৎস্যজীবীর জখম হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন দফতর।