ETV Bharat / state

Hand Made Palm Leaf Fan: আধুনিকতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে গ্রামবাংলার তালপাতার হাতপাখা

দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর চণ্ডিপুরের তালপাতার পাখা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যায় ৷ এই এলাকার তালপাতার হাতপাখার চাহিদাও ছিল একটা সময় ৷ কিন্তু, আধুনিকতার ছোঁয়ায় তালপাতার হাতপাখা ক্রমশ অস্তিত্ব সংকটে ৷ চাহিদা কমায় বারত পান না কারিগররা ৷ আর যেটুকু বিক্রি হয়, তাতে সংসার চালানো দায় এর সঙ্গে জড়িত কারিগরদের ৷

Hand Made Palm Leaf Fan ETV BHARAT
Hand Made Palm Leaf Fan
author img

By

Published : May 10, 2023, 7:19 PM IST

অস্তিত্ব সংকটে গ্রামবাংলার তালপাতার হাতপাখা

দক্ষিণ 24 পরগনা, 10 মে: গ্রামবাংলার প্রচলিত কথা, ‘শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা আর গরমে হাতপাখা’ ৷ বাঙালির এই তিনটি জিনিস চিরকালের সম্বল ছিল ৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সেই সম্বলগুলির রকম ফের হয়েছে ৷ বর্ষার ছাতা বাদ দিলে বাকি ক্ষেত্রে সেই বদল তো অবশ্যই এসেছে ৷ আর তালপাতার তৈরি হাতপাখার চল সে অর্থে প্রায় নেই বললেই চলে ৷ তার জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করেছে বৈদ্যুতিক ফ্যান, কুলার ও এসি মেশিন ৷ গ্রামেগঞ্জেও পৌঁছে গিয়েছে এর ছোঁয়া ৷ আর তাই মাথায় হাত দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর চণ্ডিপুরের তালপাতার হাতপাখা তৈরির কারিগররা ৷

আধুনিকতার এই দৌড়ে তাই চিন্তায় পড়েছেন তালপাতার হাতপাখা প্রস্তুতকারীরা ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর চণ্ডিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তালপাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করা হয় ৷ এখন সেখানকার শিল্পীদের মাথা হাত ৷ হাতপাখা তৈরির বরাত সেভাবে আসে না ৷ এই তীব্র গরমে যদিও কিছু বরাত পাওয়া যায় ৷ তবুও, আজ থেকে 10-15 বছর আগের পরিস্থিতি আর নেই ৷ গ্রামগঞ্জের লোকজন কিছুটা হলেও ব্যবহার করেন ৷ কিন্তু, শহরে ও মফঃস্বলে হাতপাখার দেখা পাওয়া খুবই দুষ্কর ৷

চৈত্র মাস পড়তে না পড়তে গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ত ৷ আর তখনই গৃহস্থের ঘরে বেরিয়ে পড়ত বিভিন্ন নকশা আঁকা রঙিন তালপাতার হাতপাখা ৷ বাড়ির বারান্দা হোক বা উঠন ৷ হাতপাখা হাতে হাওয়া খাওয়ার আমেজই ছিল আলাদা ৷ সঙ্গে চলত মা-ঠাকুমাদের গল্পগুজব ৷ কিন্তু, সেই দিনও আর নেই ৷ আর সময়ও ৷ একটা সুইচ টিপলেই মাথার উপরে বনবন করে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা ৷ আর এই গরমে এখন ঘরে ঘরে এয়ার কন্ডিশনিং মেশিনের বার-বাড়ন্ত ৷ জানালা-দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে কৃত্রিম শীতল পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে ৷ তাতে আরামও আছে, আবার ব্যারামও !

কিন্তু, এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় সংকটে জয়নগর চণ্ডিপুরের তালপাতার পাখা তৈরির কারিগররা ৷ চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রিও সে অর্থে নেই ৷ হাতপাখা তৈরি করেন ইন্তাজ নস্কর ৷ তিনি জানান, গত দুই দশকে হাতপাখার চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷ আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ চলে আসার পরে গ্রাম বাংলায় যে তালপাতার ঐতিহ্যবাহী পাখা, তার চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷ এখন দিনে 100 থেকে 150 পিস হাতপাখা বিক্রি হয় বলে জানান তিনি ৷

আরও পড়ুন: প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চাহিদা কমেছে তালপাতার তৈরি হাতপাখার

যেখানে আগে চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাসে বাজারে হাতপাখার অনেক বেশি চাহিদা থাকত ৷ কিন্তু, সেই চাহিদা কমতে কমতে ‘নেই’ এর পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে ৷ এখন সংসার চালাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের ৷ তালপাতার হাতপাখার সঙ্গে যুক্ত থাকা কারিগরদের হাতে কাজ প্রায় নেই বললেই চলে ৷ এমনকী এর সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন ৷ অনেকে কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন ৷

অস্তিত্ব সংকটে গ্রামবাংলার তালপাতার হাতপাখা

দক্ষিণ 24 পরগনা, 10 মে: গ্রামবাংলার প্রচলিত কথা, ‘শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা আর গরমে হাতপাখা’ ৷ বাঙালির এই তিনটি জিনিস চিরকালের সম্বল ছিল ৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সেই সম্বলগুলির রকম ফের হয়েছে ৷ বর্ষার ছাতা বাদ দিলে বাকি ক্ষেত্রে সেই বদল তো অবশ্যই এসেছে ৷ আর তালপাতার তৈরি হাতপাখার চল সে অর্থে প্রায় নেই বললেই চলে ৷ তার জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করেছে বৈদ্যুতিক ফ্যান, কুলার ও এসি মেশিন ৷ গ্রামেগঞ্জেও পৌঁছে গিয়েছে এর ছোঁয়া ৷ আর তাই মাথায় হাত দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর চণ্ডিপুরের তালপাতার হাতপাখা তৈরির কারিগররা ৷

আধুনিকতার এই দৌড়ে তাই চিন্তায় পড়েছেন তালপাতার হাতপাখা প্রস্তুতকারীরা ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর চণ্ডিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তালপাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করা হয় ৷ এখন সেখানকার শিল্পীদের মাথা হাত ৷ হাতপাখা তৈরির বরাত সেভাবে আসে না ৷ এই তীব্র গরমে যদিও কিছু বরাত পাওয়া যায় ৷ তবুও, আজ থেকে 10-15 বছর আগের পরিস্থিতি আর নেই ৷ গ্রামগঞ্জের লোকজন কিছুটা হলেও ব্যবহার করেন ৷ কিন্তু, শহরে ও মফঃস্বলে হাতপাখার দেখা পাওয়া খুবই দুষ্কর ৷

চৈত্র মাস পড়তে না পড়তে গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ত ৷ আর তখনই গৃহস্থের ঘরে বেরিয়ে পড়ত বিভিন্ন নকশা আঁকা রঙিন তালপাতার হাতপাখা ৷ বাড়ির বারান্দা হোক বা উঠন ৷ হাতপাখা হাতে হাওয়া খাওয়ার আমেজই ছিল আলাদা ৷ সঙ্গে চলত মা-ঠাকুমাদের গল্পগুজব ৷ কিন্তু, সেই দিনও আর নেই ৷ আর সময়ও ৷ একটা সুইচ টিপলেই মাথার উপরে বনবন করে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা ৷ আর এই গরমে এখন ঘরে ঘরে এয়ার কন্ডিশনিং মেশিনের বার-বাড়ন্ত ৷ জানালা-দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে কৃত্রিম শীতল পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে ৷ তাতে আরামও আছে, আবার ব্যারামও !

কিন্তু, এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় সংকটে জয়নগর চণ্ডিপুরের তালপাতার পাখা তৈরির কারিগররা ৷ চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রিও সে অর্থে নেই ৷ হাতপাখা তৈরি করেন ইন্তাজ নস্কর ৷ তিনি জানান, গত দুই দশকে হাতপাখার চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷ আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ চলে আসার পরে গ্রাম বাংলায় যে তালপাতার ঐতিহ্যবাহী পাখা, তার চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷ এখন দিনে 100 থেকে 150 পিস হাতপাখা বিক্রি হয় বলে জানান তিনি ৷

আরও পড়ুন: প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চাহিদা কমেছে তালপাতার তৈরি হাতপাখার

যেখানে আগে চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাসে বাজারে হাতপাখার অনেক বেশি চাহিদা থাকত ৷ কিন্তু, সেই চাহিদা কমতে কমতে ‘নেই’ এর পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে ৷ এখন সংসার চালাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের ৷ তালপাতার হাতপাখার সঙ্গে যুক্ত থাকা কারিগরদের হাতে কাজ প্রায় নেই বললেই চলে ৷ এমনকী এর সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন ৷ অনেকে কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.