ETV Bharat / state

"আমাদের ছেড়ে যাবেন না", পড়ুয়াদের ভালোবাসার কাছে 'হার' শিক্ষকের

author img

By

Published : Aug 1, 2019, 11:57 PM IST

স্কুলে ট্রান্সফারের আবেদন করেছিলেন ৷ আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৷ আজই সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলে ছিল তাঁর শেষদিন ৷ কিন্তু, শিক্ষককে ছাড়তে চায়নি পড়ুয়ারা ৷ ট্রান্সফার হয়ে গেলেও তাই আজ ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানলেন সৌম্যদেববাবু ।

ফাইল ফোটো

উস্থি, 1 অগাস্ট : একঝলক দেখলে মনে পড়ে যাবে হিন্দি সিনেমা হিচকি'র দৃশ্য । নয়না মাথুরের রিটায়ারমেন্টের পর তাঁকে ছাড়তে চায়নি না ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ সেই একই দৃশ্য ধরা পড়ল দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থির একটি স্কুলে । প্রিয় শিক্ষককে কিছুতেই যেতে দেবে না সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা । একসময় তো স্যারকে ধরে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় তারা । অনেকে স্যারের পা-ও জড়িয়ে ধরে ৷ এই ভালোবাসা দেখে আর নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেননি শিক্ষক ৷ মত বদলান তিনি ৷ ঠিক করেন এই স্কুলেই থাকবেন ৷ প্রিয় পড়ুয়াদের ছেড়ে আপাতত যাবেন না কোথাও ৷

ওই শিক্ষকের নাম সৌম্যদেব আচার্য ৷ তিনি অন্য স্কুলে ট্রান্সফারের আবেদন করেছিলেন ৷ আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৷ আজই সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলে ছিল তাঁর শেষদিন ৷ কিন্তু, শিক্ষককে ছাড়তে চায়নি পড়ুয়ারা ৷ স্কুলের মাঠে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার লাগিয়েছিল তারা । তাদের একটাই দাবি, "যেতে দেব না স্যার আপনাকে ।" শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সৌম্যদেববাবুকে স্কুল থেকে যেতে দিতে চাননি সহকর্মীরাও । ট্রান্সফার হয়ে গেলেও তাই আজ ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানলেন সৌম্যদেববাবু । এই ভালোবাসা পেয়ে অভিভূত তিনি নিজেও ৷ একসময় কেঁদেই ফেললেন ৷

a
স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্ল্যাকার্ড

সৌম্যদেববাবু বলেন, "ডানপিটে ছাত্রটি মানুষ হওয়ার পর সে যদি শিক্ষকের পথ আগলে দাঁড়ায় সেটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি ৷ একজন আদর্শ শিক্ষকের সার্থকতা এখানেই । এই প্রাপ্তিই আজ আমার হল৷"

দেখুন ভিডিয়ো

উস্থি, 1 অগাস্ট : একঝলক দেখলে মনে পড়ে যাবে হিন্দি সিনেমা হিচকি'র দৃশ্য । নয়না মাথুরের রিটায়ারমেন্টের পর তাঁকে ছাড়তে চায়নি না ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ সেই একই দৃশ্য ধরা পড়ল দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থির একটি স্কুলে । প্রিয় শিক্ষককে কিছুতেই যেতে দেবে না সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা । একসময় তো স্যারকে ধরে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় তারা । অনেকে স্যারের পা-ও জড়িয়ে ধরে ৷ এই ভালোবাসা দেখে আর নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেননি শিক্ষক ৷ মত বদলান তিনি ৷ ঠিক করেন এই স্কুলেই থাকবেন ৷ প্রিয় পড়ুয়াদের ছেড়ে আপাতত যাবেন না কোথাও ৷

ওই শিক্ষকের নাম সৌম্যদেব আচার্য ৷ তিনি অন্য স্কুলে ট্রান্সফারের আবেদন করেছিলেন ৷ আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল ৷ আজই সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলে ছিল তাঁর শেষদিন ৷ কিন্তু, শিক্ষককে ছাড়তে চায়নি পড়ুয়ারা ৷ স্কুলের মাঠে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার লাগিয়েছিল তারা । তাদের একটাই দাবি, "যেতে দেব না স্যার আপনাকে ।" শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সৌম্যদেববাবুকে স্কুল থেকে যেতে দিতে চাননি সহকর্মীরাও । ট্রান্সফার হয়ে গেলেও তাই আজ ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানলেন সৌম্যদেববাবু । এই ভালোবাসা পেয়ে অভিভূত তিনি নিজেও ৷ একসময় কেঁদেই ফেললেন ৷

a
স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্ল্যাকার্ড

সৌম্যদেববাবু বলেন, "ডানপিটে ছাত্রটি মানুষ হওয়ার পর সে যদি শিক্ষকের পথ আগলে দাঁড়ায় সেটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি ৷ একজন আদর্শ শিক্ষকের সার্থকতা এখানেই । এই প্রাপ্তিই আজ আমার হল৷"

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:প্রিয় শিক্ষক চলে যাচ্ছেন স্কুল ছেড়ে, কিন্তু বিদায়বেলায় তাকে যেতে দেবে না ছাত্রছাত্রীরা। অবশেষে ওদের বাঁধভাঙা চোখের জলের কাছে হার মানলেন শিক্ষক। এমনই এক আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকলো দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থি থানার অন্তর্গত মগরাহাট 1 নম্বর ব্লকের সরাচি অম্বিকাচরণ হাই স্কুল।

স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক সৌম্যদেব আচার্য ছাত্রছাত্রীদের সবথেকে প্রিয় স্যার। জানা যায়, কিছুদিন আগে তিনি mutual ট্রান্সফারের আবেদন জানান শিক্ষাবিভাগে, সেইমতো কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে তার বদলির জন্য নির্দেশিকাও চলে আসে। নিয়মমাফিক এবারে যেতে দিতে হবে শিক্ষককে। কিন্তু এদিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই তারা এক্কেবারে নাছোড়বান্দা, কেউই যেতে দেবে না প্রিয় শিক্ষককে। চোখভরা জল নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের গেটে শুরু করলো অবরোধ। তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও। তাদের দাবি, শুধু শিক্ষকই নয়, সহকর্মী হিসেবেও সৌম্যদেববাবু সবার প্রিয়। হয়তো বদলি হয়ে আসা নতুন শিক্ষকও ভালো মনের হবেন, কিন্তু সৌম্যদেববাবুর মতো মানুষকে হারাতে নারাজ এই স্কুল। অবশেষে ছাত্রছাত্রীদের আবদারের কাছে হার মানলেন সৌম্যদেববাবু, জানালেন তিনি আর যাচ্ছেন না এই স্কুল ছেড়ে।তিনি আরও জানান সবথেকে ডানপিটে ছাত্রটাকে মানুষ করানোর পর যখন সে এসে দাঁড়ায় তার শিক্ষকের বদলি না করানোর আন্দোলনে, তার থেকে বড় প্রাপ্তি হয়তো আর কিছুই হতে পারেনা শিক্ষক হিসেবে। একজন আদর্শ শিক্ষকের সার্থকতা হয়তো এখানেই।Body:এদিনের এই আবেগ ঘন মুহূর্তে শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে যখন ছাত্রছাত্রীরা কাঁদছিল। তখন ওই শিক্ষক নিজে ও হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন। ছাত্রছাত্রীদের চোখের জল দেখে তাদের ছেড়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই ওই শিক্ষক।Conclusion:Intro ও বডি তে কপি দিলাম
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.