ETV Bharat / state

প্রয়াত বিধায়কের ইচ্ছেয় দুর্গত মানুষের পাশে মা ও ছেলে - jayanta naskar

করোনায় মৃত্যু হয়েছে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের ৷ নিজের জীবদ্দশায় বারবার গোসাবার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন তিনি । তাঁর মৃত্যুর পরও অসহায় গোসাবার দুর্গত মানুষের কথা ভোলেনি তাঁর পরিবার । বিধায়কের স্ত্রী ও ছেলে দাঁড়ালেন অসহায় মানুষদের পাশে ৷

গোসাবা
গোসাবা
author img

By

Published : Aug 1, 2021, 7:22 PM IST

গোসাবা, 1 অগস্ট : আজীবন গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইতেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ৷ পরিবারকেও সেই কথাই বলতেন তিনি ৷ আজ তাঁর অবর্তমানে গোসাবার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী ও পুত্র ৷ বিধায়কের কাজকে এভাবেই স্মরণ করলেন তাঁরা ৷

গত 19 জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ৷ নিজের জীবদ্দশায় বারবার গোসাবার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন তিনি । তাঁর মৃত্যুর পরও অসহায় গোসাবার দুর্গত মানুষের কথা ভোলেনি তাঁর পরিবার । গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে যখন গোসাবা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন, লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তখন সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন প্রয়াত বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের পরিবার ।

স্ত্রী অনিতা নস্কর ও ছেলে বাপ্পাদিত্য নস্কর শনিবার থেকে গোসাবার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দুর্গত মানুষদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিলেন । স্বামীর কাজকে বাঁচিয়ে রাখতে, তাঁর স্মরণে ত্রাণ বিলি করতে এসে প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী অনিতা নস্কর বলেন, ‘‘আমার স্বামী সবসময় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতেন ৷ এই বর্ষাকালে ছোটাছুটি করে তিনি সবার জন্য ত্রাণ বিলি করতেন ৷ যেটুকু আমাদের সামর্থ্য আমরা সেটুকুই করছি ৷ আমার ছেলেকে নিয়ে আজ এলাকার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি ৷"

বিধায়ক নেই, তবু তাঁর আজীবন মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছে পূরণ করলেন স্ত্রী ও পুত্র

আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের

বাবা বেঁচে না থাকলেও তাঁর বলা কথা মনে রেখেছেন কলকাতা পুলিশের কর্মী ছেলে বাপ্পাদিত্য নস্কর । এদিন তিনি বলেন, "ছোটবেলা থেকে বাবাকে সবসময় দেখেছি বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ৷ দুর্গত মানুষদের সেবা করাই ছিল তাঁর মূলমন্ত্র ৷ আমরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাবা বলতেন তোরা তো এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিস ৷ তাই আমার এখানে যা বিষয়-আশয় আছে তা আমি এখানকার জনগণের জন্য উৎসর্গ করতে চাই ৷ আমি না থাকলে এই বিষয়-আশয় থেকে যা উপার্জন হবে তা দিয়ে সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করিস ৷ তাই বাবার কথা স্মরণ করে মা চাইলেন দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ৷ সেই জন্যই এখানকার মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হল ৷"

বিধায়ক জয়ন্তবাবুর পরিবারের এই উদ্যোগে খুশি দলীয় কর্মী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ ।

গোসাবা, 1 অগস্ট : আজীবন গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইতেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ৷ পরিবারকেও সেই কথাই বলতেন তিনি ৷ আজ তাঁর অবর্তমানে গোসাবার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী ও পুত্র ৷ বিধায়কের কাজকে এভাবেই স্মরণ করলেন তাঁরা ৷

গত 19 জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর ৷ নিজের জীবদ্দশায় বারবার গোসাবার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন তিনি । তাঁর মৃত্যুর পরও অসহায় গোসাবার দুর্গত মানুষের কথা ভোলেনি তাঁর পরিবার । গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে যখন গোসাবা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন, লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তখন সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন প্রয়াত বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের পরিবার ।

স্ত্রী অনিতা নস্কর ও ছেলে বাপ্পাদিত্য নস্কর শনিবার থেকে গোসাবার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দুর্গত মানুষদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিলেন । স্বামীর কাজকে বাঁচিয়ে রাখতে, তাঁর স্মরণে ত্রাণ বিলি করতে এসে প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী অনিতা নস্কর বলেন, ‘‘আমার স্বামী সবসময় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতেন ৷ এই বর্ষাকালে ছোটাছুটি করে তিনি সবার জন্য ত্রাণ বিলি করতেন ৷ যেটুকু আমাদের সামর্থ্য আমরা সেটুকুই করছি ৷ আমার ছেলেকে নিয়ে আজ এলাকার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি ৷"

বিধায়ক নেই, তবু তাঁর আজীবন মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছে পূরণ করলেন স্ত্রী ও পুত্র

আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের

বাবা বেঁচে না থাকলেও তাঁর বলা কথা মনে রেখেছেন কলকাতা পুলিশের কর্মী ছেলে বাপ্পাদিত্য নস্কর । এদিন তিনি বলেন, "ছোটবেলা থেকে বাবাকে সবসময় দেখেছি বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ৷ দুর্গত মানুষদের সেবা করাই ছিল তাঁর মূলমন্ত্র ৷ আমরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাবা বলতেন তোরা তো এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিস ৷ তাই আমার এখানে যা বিষয়-আশয় আছে তা আমি এখানকার জনগণের জন্য উৎসর্গ করতে চাই ৷ আমি না থাকলে এই বিষয়-আশয় থেকে যা উপার্জন হবে তা দিয়ে সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করিস ৷ তাই বাবার কথা স্মরণ করে মা চাইলেন দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ৷ সেই জন্যই এখানকার মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হল ৷"

বিধায়ক জয়ন্তবাবুর পরিবারের এই উদ্যোগে খুশি দলীয় কর্মী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.