ভাঙড়, 15 ফেব্রুয়ারি: একাধিক দাবিতে আজ 'ভাঙড় চলো' কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সিপিএম ৷ এই মিছিল বন্ধের জন্য দক্ষিণ 24 পরগনার বহু সিপিআইএম নেতাদের চিঠি পাঠাল ভাঙড় থানার পুলিশ ৷ চিঠিতে এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাই, মিটিং মিছিল করতে গেলে অবশ্যই পুলিশি অনুমতি নিতে হবে বলে চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে ৷
এ বিষয়ে পালটা সিপিএমের বক্তব্য, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস মিটিং-মিছিল করলে কোনও অনুমতি বা রাজনৈতিক সমস্যার কথা জানা যায় না ৷ বিরোধীরা মিটিং-মিছিল করতে গেলেই সমস্যা ৷ তাই, সিপিএমের ডাকা মিছিল সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার চেষ্টায় আছে ৷ স্বাভাবিকভাবে পুলিশি অনুমতি না থাকা, 144 ধারার মধ্যে মিছিল করলে যে পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধতে পারে, তা খুব সহজেই অনুমেয় ৷
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী বলেন, "ভাঙড়ে শাসকদল মিছিল-মিটিং করছে । পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে । অথচ সিপিএম বা অন্য বিরোধী দলকে মিছিল, মিটিং করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ বাধা দিতে পুলিশ 144 ধারা জারির কথা বলছে ।"
আরও পড়ুন: শনিতে আইএসএফ-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, রবিবার আরাবুলের বাড়ির পিছনে বোমার বস্তা
পুলিশের পাঠানো চিঠিতে সিপিএম দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ীর নাম উল্লেখ রয়েছে ৷ পাশাপাশি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, ভাঙড়ের সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ, আজিজার রহমান, রশিদ গাজীকে ৷ তাতে লেখা হয়েছে, "বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, শমীক লাহিড়ী ও অন্য নেতৃত্ব 15 ফেব্রুয়ারি 'ভাঙড় চলো' কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ৷ এই মিছিল করা যাবে না ৷"
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শমীক লাহিড়ী আরও বলেন, " তৃণমূলের দাগি অপরাধীরাও মিছিল, মিটিং করছে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছে ৷ অথচ দলদাস পুলিশ বিরোধীদের মিছিল, সভা আটকাতে 144 ধারা জারি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চাইছে ৷ এব্যাপারে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি ।"
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ভাঙড় জুড়ে 144 ধারা জারি করেছে মমতার প্রশাসন ৷ সর্বত্র মাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ ৷ বাড়ি বাড়ি হুমকির চিঠি দিচ্ছে ৷ রাস্তায় ব্যরিকেড ৷ নাকা চেকিং ৷ যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি ! এত ভয় সিপিএমকে ? একমাত্র বিরোধী বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে ? এ দাপট টিকবে না ৷ অধিকারের লড়াই চলবে ৷"