সোনারপুর, 11 জুলাই : নৃশংসভাবে খুন বাবা ও মেয়ে । মৃতদের নাম বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায় ও সুনিতা পণ্ডিত । ঘটনার পর থেকে পলাতক যুবতির স্বামী । সোনারপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দু'জনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । দেহ উদ্ধারের সময় যুবতির গলায় বিয়ারের বোতল ঢোকানো ছিল । অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কাটা ছিল । ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ । যুবতির স্বামীর খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা ।
সুভাষগ্রামের সুকান্ত সরণীতে বাড়ি বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায়ের । বছর পঞ্চাশের বাসুদেববাবুর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন তাঁর মেয়ে সুনিতা পণ্ডিত । আজ বাড়ি থেকে তাঁদের দুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুনিতা বাসুদেবের পালিতা মেয়ে । সুনিতার সাথে রমেশ পণ্ডিতের বিয়ে হয়েছিল । মৃতদেহগুলি উদ্ধারের আগে না কি রমেশ ওই বাড়িতেই ছিল ।
কিন্তু, কেন দুজনকে এমন নৃশংসভাবে খুন করা হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তদন্তকারীদের মনে । কারণ, প্রতিবেশীদের একাংশের বক্তব্য, সুনিতা ও তার স্বামীর সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এই খুন । আবার কারও কারও মতে, বাসুদেবের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সুনিতার । সেই রোষ থেকে রমেশ শ্বশুর ও স্ত্রীকে খুন করে । তারপর পালিয়ে যায় ।
ঘটনার পর যুবতির সন্তান জানিয়েছে, তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় স্নান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় । এই বয়ান থেকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, রমেশই খুন করেছে । তার খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে । রমেশের ছবি আশপাশের কয়েকটি থানাতেও দেওয়া হয়েছে ।
এদিকে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু ঘটনাস্থানে আসেন । এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি । জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।