ক্যানিং, 6 সেপ্টেম্বর: ছবি, ফোন নম্বর দিয়ে মানুষ মারতে 'সুপারি কিলিং'-এর বিজ্ঞাপন ৷ এরকমই ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে এলাকায় প্রচার করেছে এক ব্যক্তি ৷ সেই কার্ডে কাউকে খুন করাতে কোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে তাও বিশদে বলা হয়েছে ৷ কার্ডে লেখা 'বুলেট ৷ মানুষ হাফ মাডার ও ফুল মার্ডার করা হয় ৷' এর নীচে ফোন নম্বর দেওয়া ৷ খবর জানতে পেরেই ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ ৷ ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি দেশি বন্দুক ও দু'রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছে।
ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত দু'তিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন সূত্র মারফত এই ভিজিটিং কার্ডের খবর মিলছিল ৷ পাশাপাশি সোমবার ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ধরনের পোস্টারও দেখতে পাওয়া যায় ৷
বিষয়টি জানতে পেরেই সোমবার দুপুরে ক্যানিং থানার সাব-ইনস্পেক্টর রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল ধর্মতলা গ্রামে হানা দেয় ৷ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বছর অগস্ট মাসে মোরসেলিমের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগ ওঠে ৷ তখন গ্রেফতার হয়েছিল মোরসেলিম ৷ পাশাপাশি বছর খানেক আগে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিনজনের খুনের অভিযোগ ওঠে মোরসেলিমের মামার বিরুদ্ধে ৷ তার নাম রফিকুল সর্দার ৷
আরও পড়ুন: বিচার পেয়েছে মেয়ে, খুনির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুতপার বাবা
ওই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেও ক্যানিং থানার পুলিশ মোরসেলিমকে গ্রেফতার করেছিল ৷ তবে সেই সময় নাবালক হওয়ায় সহজেই জামিন পেয়ে যায় মোরসেলিম ৷ স্থানীয়দের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্থানীয়দের ভয় দেখাত অভিযুক্ত ৷ গত কয়েকদিন ধরে সে মানুষ খুন করার জন্য সুপারি নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে ৷ সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় নিজের অভিযোগ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত ৷ ধৃতের কাছ থেকে ভিজিটিং কার্ডের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর ৷