বারুইপুর, 4 এপ্রিল : দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির সঙ্গে হাসপাতালের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে । ফলে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ পরিষেবা (ম্যানিফোল্ড পদ্ধতি) যে কোনও দিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (Pipeline Oxygen supply in Baruipur Sub-Divisional Hospital) ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পিএসএ প্যান্টের মাধ্যমে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Baruipur Sub-Divisional Hospital) পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও, চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য মোট 58টি ডি টাইপ সিলিন্ডার রয়েছে । যার মধ্যে এখন 16টি চলছে । এই ডি টাইপ অক্সিজেন সিলিন্ডারে থাকে 150 কেজি অক্সিজেন, যার মাধ্যমে 1 ঘণ্টায় 15 লিটার অক্সিজেন সরবরাহ হয় । যে এজেন্সি এই কাজের দায়িত্বে ছিল, তাদের সঙ্গে চুক্তি 31 মার্চ 2022 শেষ হয়ে গিয়েছে । একমাত্র হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেঁচে থাকা সিলিন্ডার দিয়ে তাঁরা পরিষেবা চালু রেখেছে ।
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে বিষয়টি । কিছু অসুবিধা হলেও বেশি করে নজরদারি রাখতে হবে আমাদের ।" এই প্রসঙ্গেই বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা স্থানীয় বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সব জানিয়েছি । বলা হয়েছে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ চালু রাখার জন্য । অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে রোগীদের যেন কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে । আশা করছি দু‘-একদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে ।"
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল করোনা হাসপাতাল হয়ে যাওয়ায় এমজিপিএস পদ্ধতিতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা হয়েছিল । তা থেকেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও পরিষেবা চলত ।
এক চিকিৎসক এ বিষয়ে বলেন, ‘‘বি টাইপ অক্সিজেন পরিষেবা হল পুরানো মান্ধাতা আমলের । একজন পেশেন্টের জন্য একটি করে সিলিন্ডার লাগে । সবসময় সিলিন্ডারগুলিতে 50 কেজি অক্সিজেন থাকে ৷ এতে প্রতি ঘণ্টায় 10 লিটার অক্সিজেন সরবরাহ হয় । এতে প্রচুর ম্যানপাওয়ার ও অনেক নজরদারির প্রয়োজন হয় । কিন্তু সেই ম্যানপাওয়ার এখন হাসপাতালে নেই ।’’
তাড়াহুড়োতে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের । তাদের বক্তব্য, এই বি টাইপ পরিষেবা চালু হলে রোগীদের মুখে অক্সিজেন দেওয়া (এনআরবিএম) পরিষেবাও ব্যহত হবে । ফলে বাড়তে পারে রোগীদের ভোগান্তি ।
আরও পড়ুন : SSC Group D Recruitment Case : সময় নিলেন প্রধান বিচারপতি, গ্রুপ-ডি দুর্নীতি মামলায় বহাল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়