ETV Bharat / state

Muriganga Losing Navigability: পলি পড়ে কমছে মুড়িগঙ্গার নাব্যতা, ভাটার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত - ভাটার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত

People Crossing Muriganga with Life Risk in Kakdwip: পলি পড়ে নাব্যতা কমেছে কাকদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মাঝে থাকা মুড়িগঙ্গার ৷ অভিযোগ তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী তথা বাসিন্দাদের ৷ হুগলি নদীর সঙ্গে যুক্ত এই মুড়িগঙ্গায় ভাটার সময় প্রায় মাঝখানে থাকে জল ৷ কাদার উপর দিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে ভেসেলে উঠতে হয় বলে অভিযোগ মানুষের ৷

Muriganga Losing Navigability ETV BHARAT
Muriganga Losing Navigability
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 3, 2023, 5:44 PM IST

পলি পড়ে কমছে মুড়িগঙ্গার নাব্যতা

কাকদ্বীপ, 3 সেপ্টেম্বর: নাব্যতা হারাচ্ছে কাকদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মাঝে বয়ে যাওয়া মুড়িগঙ্গা ৷ যেটি গিয়ে মিশেছে হুগলি নদীতে ৷ অভিযোগ এই মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমে যাওয়ায় প্রতিদিন ভাটার সময় প্রায় 6 ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি পরিষেবা ৷ প্রতিনিয়ত এই সমস্যার জেরে ক্ষোভ জমেছে দ্বীপ এলাকার মানুষের মধ্যে ৷ কেবলমাত্র জোয়ারের সময় ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে ৷ আর ভাটার সময় নদী পারাপারের জন্য ছোটো ডিঙি নৌকো বা ভুটভুটির উপর ভরসা করতে হয় নিত্যযাত্রীদের ৷ আর সেখানেও উঠেছে লুঠের অভিযোগ ৷

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষজনকে মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ে নেমে পাড়ে যেতে হয় ৷ ফেরি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি জল কাদার উপর দিয়ে নদীর মাঝ বরাবর এক কোমর জলে নেমে ভুটভুটিতে উঠতে হয় ৷ পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর ডিঙি নৌকা চড়ায় আটকে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঝ নদীতে বসে থাকতে হয় মানুষকে ৷ এভাবেই প্রতিনিয়ত জীবন হাতে নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের ৷

আবার এই আর ভেসেল বন্ধ থাকার কারণে সুযোগে লুঠ চালাচ্ছে ছোট নৌকাগুলি ৷ যেখানে কাকদ্বীপের লর্ড নম্বর 8 থেকে গঙ্গাসাগর দ্বীপের কচুবেড়িয়া যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ভাড়া 9 টাকা ৷ সেই ভাড়া বেড়ে হয়ে যাচ্ছে মাথাপিছু 50 টাকা ৷ এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস বলেন, ‘‘মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে ৷ কিন্তু সেই টাকা যাচ্ছে কোথায় ? যাত্রীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের পকেট ভরাচ্ছে ৷’’

আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে ড্রেজ়িংয়ের কাজ

মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷ তিনি বলেন, ‘‘একথা সত্যি পলি পড়ার কারণে মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে ৷ তার জেরে ছোট ছোট নৌকা বা ট্রলারে করে মানুষজনকে পারাপার হতে হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষের অসুবিধা সম্পর্কে প্রশাসন ইতিমধ্যেই অবগত l গঙ্গাসাগর মেলাকে মাথায় রেখে কয়েক মাসের মধ্যেই মুড়িগঙ্গার নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার ৷’’

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ কুমার দাস বলেন, ‘‘এই সমস্যা দীর্ঘদিনের ৷ প্রশাসন এই সমস্যার সমাধানের জন্য কোন প্রকার হেলদোল দেখাচ্ছে না ৷ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় আমাদের ৷ সাগরে কোন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই ৷ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা উদাসীন ৷ কবে সমস্যার সমাধান হবে, তা আমরা জানি না ৷ আমরা চাই রাজ্য সরকার অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক ৷

পলি পড়ে কমছে মুড়িগঙ্গার নাব্যতা

কাকদ্বীপ, 3 সেপ্টেম্বর: নাব্যতা হারাচ্ছে কাকদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মাঝে বয়ে যাওয়া মুড়িগঙ্গা ৷ যেটি গিয়ে মিশেছে হুগলি নদীতে ৷ অভিযোগ এই মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমে যাওয়ায় প্রতিদিন ভাটার সময় প্রায় 6 ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি পরিষেবা ৷ প্রতিনিয়ত এই সমস্যার জেরে ক্ষোভ জমেছে দ্বীপ এলাকার মানুষের মধ্যে ৷ কেবলমাত্র জোয়ারের সময় ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে ৷ আর ভাটার সময় নদী পারাপারের জন্য ছোটো ডিঙি নৌকো বা ভুটভুটির উপর ভরসা করতে হয় নিত্যযাত্রীদের ৷ আর সেখানেও উঠেছে লুঠের অভিযোগ ৷

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষজনকে মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ে নেমে পাড়ে যেতে হয় ৷ ফেরি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি জল কাদার উপর দিয়ে নদীর মাঝ বরাবর এক কোমর জলে নেমে ভুটভুটিতে উঠতে হয় ৷ পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর ডিঙি নৌকা চড়ায় আটকে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঝ নদীতে বসে থাকতে হয় মানুষকে ৷ এভাবেই প্রতিনিয়ত জীবন হাতে নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের ৷

আবার এই আর ভেসেল বন্ধ থাকার কারণে সুযোগে লুঠ চালাচ্ছে ছোট নৌকাগুলি ৷ যেখানে কাকদ্বীপের লর্ড নম্বর 8 থেকে গঙ্গাসাগর দ্বীপের কচুবেড়িয়া যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ভাড়া 9 টাকা ৷ সেই ভাড়া বেড়ে হয়ে যাচ্ছে মাথাপিছু 50 টাকা ৷ এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস বলেন, ‘‘মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে ৷ কিন্তু সেই টাকা যাচ্ছে কোথায় ? যাত্রীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের পকেট ভরাচ্ছে ৷’’

আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে ড্রেজ়িংয়ের কাজ

মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷ তিনি বলেন, ‘‘একথা সত্যি পলি পড়ার কারণে মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে ৷ তার জেরে ছোট ছোট নৌকা বা ট্রলারে করে মানুষজনকে পারাপার হতে হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষের অসুবিধা সম্পর্কে প্রশাসন ইতিমধ্যেই অবগত l গঙ্গাসাগর মেলাকে মাথায় রেখে কয়েক মাসের মধ্যেই মুড়িগঙ্গার নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার ৷’’

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ কুমার দাস বলেন, ‘‘এই সমস্যা দীর্ঘদিনের ৷ প্রশাসন এই সমস্যার সমাধানের জন্য কোন প্রকার হেলদোল দেখাচ্ছে না ৷ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় আমাদের ৷ সাগরে কোন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই ৷ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা উদাসীন ৷ কবে সমস্যার সমাধান হবে, তা আমরা জানি না ৷ আমরা চাই রাজ্য সরকার অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.