বাঁশদ্রোণী, 3 জুন : ছয় বছরের কন্যা সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মায়ের সঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবতির । ঘটনায় মৃত্যু হয় যুবতির । তাঁর নাম সংযুক্তা । তবে, প্রাণে বেঁচে যান ওই যুবতির মা ও কন্যা । বাঁশদ্রোণীর বোড়ালের ঘটনা ।
মৃত যুবতির মা মাধবী মণ্ডল জানান, তাঁর মেয়ের সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় । তারপর থেকে মেয়েক নিয়ে তাঁর সঙ্গেই থাকতেন সংযুক্তা । পরে বেহালার বাসিন্দা পিনাকীরঞ্জন ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের সঙ্গে সংযুক্তার আলাপ হয় । দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয় । কয়েকবার বাড়িতেও এসেছে পিনাকী । কিন্তু যতবারই পিনাকী বাড়িতে এসেছেন সংযুক্তাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে চলে গেছেন । এমনকী, সংযুক্তা ও তাঁর সমস্ত গয়নাও নিয়ে যায় ওই যুবক । শেষমেষ তাঁদের ফ্ল্যাটটিকেও মাত্র সাড়ে চার লাখায় বিক্রি করতে বাধ্য করেন পিনাকী । তারপরেই তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েন বলে জানান মাধবী । ফলে বাধ্য হয়ে গতকাল ছয় বছরের মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান সংযুক্তা । তারপর মা মাধবীর সঙ্গে নিজেও ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেন ।
ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় তিন জনেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন । কিন্তু সেইসময় ঘরের দরজা খোলা থাকায় প্রতিবেশীরা তাঁদের দেখতে পান । তাঁরাই উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ওই তিন জনকে । সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সংযুক্তাকে । তবে, প্রাণে বেঁচে যান তাঁর মা ও সন্তান ।
মাধবীর বক্তব্য, সব হারিয়ে আর্থিক অনটনের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । কিন্তু স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে । ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পিনাকীরঞ্জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ।