রায়দিঘি, 7 জুন : সুন্দরবন পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জালে অনলাইন জালিয়াতির এক পাণ্ডা । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুভব্রত বিশ্বাস (33) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
রায়দিঘির নিরঞ্জন হালদার নামে এক ব্যক্তি শুভব্রতর জালিয়াতির শিকার হন । অভিযুক্ত শুভব্রত বিশ্বাস তাঁর 70 হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ । অনলাইনে প্রতরণার শিকার হওয়ার পর সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিরঞ্জনবাবু ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই অভিযুক্ত অনলাইন জালিয়াতি করে আরও অনেকেরই টাকা হাতিয়েছে । সুন্দরবন পুলিশ জেলার একটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয় । এরপরই আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করে মথুরাপুর থানায় আনা হয়েছে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে অনলাইন প্রতরণা করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ধৃতকে আগামীকাল কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে । সেখানে আরও কিছু দিনের জন্য অভিযুক্তকে পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে । অভিযুক্তকে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
কিছুদিন আগেই মাস্কের বিক্রি নিয়ে জালিয়াতির খবর সামনে এসেছিল । কোরোনা আবহে বহু অনলাইন সংস্থাই মাস্ক বিক্রি করছে ৷ মাস্কের পাশাপাশি স্যানিটাইজ়ারও বিক্রি করছে অনেকে ৷ আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই বাড়ছে অনলাইনে জালিয়াতি ।
এই ধরনের অনলাইন প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি? প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘খেয়াল রাখতে হবে, যে e-কমার্স সাইটে আপনি অর্ডার করছেন সেটি সঠিক নাকি ভুয়ো? যখন অনলাইনে অর্ডার করবেন তখন দেখবেন ক্যাশ অন ডেলিভারি করা যাচ্ছে কিনা । যদি ক্যাশ অন ডেলিভারি করা যায়, তবে সেটি আসল ওয়েবসাইট । তা যদি না হয় তবে নিশ্চিতভাবেই সেটি ভুয়ো । ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেসে দেখবেন http আছে কিনা । অনলাইন টাকা দেওয়ার সময় দেখতে হবে কোন নামী গেটওয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা । যদি সাইটের মধ্যে পেমেন্ট চাওয়া হয়, তাহলে প্রতারণার সম্ভাবনা রয়েছে । এই বিষয়গুলো মেনে চললে এড়ানো যাবে সাইবার প্রতারণা ।’’