ETV Bharat / state

Model Workstation in Sundarban : মৎস্যজীবী ও আদিবাসীদের জীবিকা নির্বাহে সুন্দরবনে ‘মডেল কর্মক্ষেত্র’ - Model Workstation in Sundarban for Tribals and Fishermen

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মৎস্যজীবী এবং আদিবাসীদের বিকল্প উপার্জনের জন্য মডেল কর্মক্ষেত্র তৈরির পরিকল্পনা (Model Workstation in Sundarbans for Tribals and Fishermen) ৷ পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতি এবং বন দফতরের উদ্যোগে এই মডেল কর্মক্ষেত্র তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৷ যেখানে মাছচাষ ও কৃত্রিম উপায়ে মৌমাছি পালন করা হবে ৷ বাঘ ও কুমিরের হামলা থেকে আদিবাসীদের বাঁচাতে এই উদ্যোগ ৷

Model Workstation in Sundarbans for Tribals and Fishermen
Model Workstation in Sundarbans for Tribals and Fishermen
author img

By

Published : Apr 11, 2022, 7:41 PM IST

পাথরপ্রতিমা, 11 এপ্রিল : প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনকে ৷ মাছ-কাঁকড়া-মধুর খোঁজে প্রতিনিয়তই গভীর জঙ্গলে যান সুন্দরবনের মৎস্যজীবী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কুমিরের আক্রমণ ৷ কিংবা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় আদিবাসী মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের । সুন্দরবনের সেই সব প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসী মানুষদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরাতে উদ্যোগ নিল স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও বন বিভাগ ৷

পাথরপ্রতিমার জি-প্লটের সত্যদাসপুর সবুজবাজারের কাছে জগদ্দল নদীর পাড়ে প্রায় 39 একর জমির উপর ‘মডেল কর্মক্ষেত্র’ ও ‘ইকো পর্যটন কেন্দ্র’ তৈরির পরিকল্পনা নিল বন দফতর এবং পঞ্চায়েত সমিতি (Model Workstation in Sundarbans for Tribals and Fishermen) ৷ সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমাতে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের প্রায় সাড়ে তিনশোটি পরিবার রয়েছে ৷ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর ৷ ফলে আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষজনের আর জঙ্গলে যেতে হবে না ৷ প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কাও কমবে অনেকটাই ৷

আরও পড়ুন : GPS on Batagur Baska Turtle : কচ্ছপের দেহে ট্রান্সমিটার বসাল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প

পাথরপ্রতিমার সত্যদাসপুর, দাসপুর ও পশ্চিম দ্বারিকাপুর এলাকায় কয়েকশো আদিবাসী পরিবারের বসবাস ৷ তাঁদের উপার্জনের প্রধান ভরসা সুন্দরবনের জঙ্গলকে ঘিরেই ৷ আর সেখানে কখনও বাঘের আক্রমণ, তো কখনও কুমিরের হামলার শিকার হন মৎস্যজীবী এবং অন্যান্য আদিবাসীরা ৷ মাছ ধরতে গিয়ে এক বছরের মধ্যে তিন মৎস্যজীবী বাঘের আক্রমণে জখম হয়েছেন ৷ তাই স্থানীয় সত্যদাসপুরে জগদ্দল নদীর পাড়ে নির্ধারিত জায়গায় মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ি চাষের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি, মৌমাছি প্রতিপালন এবং পোলট্রি ফার্মও তৈরি করা হবে এই কেন্দ্রে ৷

মৎস্যজীবী ও আদিবাসীদের জীবিকা নির্বাহে সুন্দরবনে ‘মডেল কর্মক্ষেত্র’

আরও পড়ুন : Sundarbans Tiger Attack : লাঠিপেটা করে নৌকা থেকে বাঘ তাড়ালেন তিন মৎস্যজীবী

এই কর্মক্ষেত্র চালু হলে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশাবাদী পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতি ৷ তবে, রাজ্য সরকারের তরফে পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র মিললে তবেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেই জানা গিয়েছে ৷ শুক্রবার প্রকল্পের জায়গা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সমীর জানা ৷ ছিলেন জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল, নোডাল অফিসার সৌরভ দাস-সহ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা ৷

সমীর জানা বলেন, ‘‘জঙ্গলের বিকল্প কর্মক্ষেত্র হিসেবে ইকো পার্কটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য চালু করা হবে ৷ এটি সুন্দরবনে মডেল কর্মক্ষেত্র হিসেবে তৈরি হতে চলেছে ৷ পর্যটকদের কাছেও এটি দর্শনীয় হয়ে উঠবে ৷’’

পাথরপ্রতিমা, 11 এপ্রিল : প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনকে ৷ মাছ-কাঁকড়া-মধুর খোঁজে প্রতিনিয়তই গভীর জঙ্গলে যান সুন্দরবনের মৎস্যজীবী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কুমিরের আক্রমণ ৷ কিংবা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় আদিবাসী মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের । সুন্দরবনের সেই সব প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসী মানুষদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরাতে উদ্যোগ নিল স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও বন বিভাগ ৷

পাথরপ্রতিমার জি-প্লটের সত্যদাসপুর সবুজবাজারের কাছে জগদ্দল নদীর পাড়ে প্রায় 39 একর জমির উপর ‘মডেল কর্মক্ষেত্র’ ও ‘ইকো পর্যটন কেন্দ্র’ তৈরির পরিকল্পনা নিল বন দফতর এবং পঞ্চায়েত সমিতি (Model Workstation in Sundarbans for Tribals and Fishermen) ৷ সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমাতে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের প্রায় সাড়ে তিনশোটি পরিবার রয়েছে ৷ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর ৷ ফলে আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষজনের আর জঙ্গলে যেতে হবে না ৷ প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কাও কমবে অনেকটাই ৷

আরও পড়ুন : GPS on Batagur Baska Turtle : কচ্ছপের দেহে ট্রান্সমিটার বসাল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প

পাথরপ্রতিমার সত্যদাসপুর, দাসপুর ও পশ্চিম দ্বারিকাপুর এলাকায় কয়েকশো আদিবাসী পরিবারের বসবাস ৷ তাঁদের উপার্জনের প্রধান ভরসা সুন্দরবনের জঙ্গলকে ঘিরেই ৷ আর সেখানে কখনও বাঘের আক্রমণ, তো কখনও কুমিরের হামলার শিকার হন মৎস্যজীবী এবং অন্যান্য আদিবাসীরা ৷ মাছ ধরতে গিয়ে এক বছরের মধ্যে তিন মৎস্যজীবী বাঘের আক্রমণে জখম হয়েছেন ৷ তাই স্থানীয় সত্যদাসপুরে জগদ্দল নদীর পাড়ে নির্ধারিত জায়গায় মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ি চাষের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি, মৌমাছি প্রতিপালন এবং পোলট্রি ফার্মও তৈরি করা হবে এই কেন্দ্রে ৷

মৎস্যজীবী ও আদিবাসীদের জীবিকা নির্বাহে সুন্দরবনে ‘মডেল কর্মক্ষেত্র’

আরও পড়ুন : Sundarbans Tiger Attack : লাঠিপেটা করে নৌকা থেকে বাঘ তাড়ালেন তিন মৎস্যজীবী

এই কর্মক্ষেত্র চালু হলে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশাবাদী পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতি ৷ তবে, রাজ্য সরকারের তরফে পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র মিললে তবেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেই জানা গিয়েছে ৷ শুক্রবার প্রকল্পের জায়গা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সমীর জানা ৷ ছিলেন জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল, নোডাল অফিসার সৌরভ দাস-সহ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা ৷

সমীর জানা বলেন, ‘‘জঙ্গলের বিকল্প কর্মক্ষেত্র হিসেবে ইকো পার্কটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য চালু করা হবে ৷ এটি সুন্দরবনে মডেল কর্মক্ষেত্র হিসেবে তৈরি হতে চলেছে ৷ পর্যটকদের কাছেও এটি দর্শনীয় হয়ে উঠবে ৷’’

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.