পাথরপ্রতিমা, 30 নভেম্বর: ফের অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজের দুই ভাইকে নিয়ে অভাবে তাড়নায় কেরলে কাজে গিয়েছিলেন রাজকুমার নায়েক (32)। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন নায়েক পরিবারের তিন ভাই ৷ তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার পাথরপ্রতিমার জি-প্লটে। মঙ্গলবার একটি বাড়ি তৈরির সময় খাদ থেকে বালি কাটছিলেন রাজকুমার। হঠাৎই সেই বালির খাদে হুড়মুড়িয়ে ধস নামে। মুহূর্তের মধ্যে সেই খাদে বালি চাপা পড়েন রাজকুমার।
এরপর তড়িঘড়ি সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় রাজকুমারকে। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুদূর কেরল থেকে সেই মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছেছে পাথরপ্রতিমায়। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শোকাহত গোটা পরিবার। রাজকুমারের দুই ছেলে রয়েছে পরিবারের হাল ধরতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল এই রাজকুমার, কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না ৷ তার বদলে বাড়িতে পৌঁছল রাজকুমারের নিথর দেহ। বৃহস্পতিবার রাজকুমারের নিথর দেহ এসে পৌঁছয় পাথরপ্রতিমাতে।
মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবেশী থেকে পরিবারের লোকজনরা। রাজকুমারের দিদি সুতপা মাঝি বলেন, "এই রাজ্যে কলকারখানা, শিল্প কিছুই নেই। সংসারের হাল ধরতে আমার তিন ভাই ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিল। আর সেই বাইরে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল আমার ভাইয়ের।" ঘটনাস্থলে থাকা রাজকুমারের ছোট ভাই বিশ্বজিৎ নায়েক বলেন, "দাদা একটা গর্তের সামনে বসে বালি কাটছিল সেই সময় হঠাৎই ধস নামে মুহূর্তের মধ্যে বালি চাপা পড়ে যায় আমার দাদা।"
তিনি আরও বলেন, "আমার চোখের সামনে দাদা বালি চাপা পড়ে মারা গেল আমি কিছুই করতে পারলাম না। প্রান্তিক এলাকার মানুষ আমরা, পেটের দায়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হচ্ছে আমাদের।" পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত নায়েক পরিবার।
আরও পড়ুন: