নরেন্দ্রপুর, 11 অগাস্ট : মাথা ন্যাড়া করে, গলায় তুলসির মালা পরে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েও হল না শেষ রক্ষা । নরেন্দ্রপুরের কুসুম্বায় মহিলা খুনের 24 ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী বাপি বৈদ্য । বেহালার ভাটিখানার একটি মন্দির থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কুসুম্বায় ভাড়া থাকত বাপি বৈদ্য ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা বৈদ্য । পেশায় গাড়িচালক বাপি । এটি তার তৃতীয় বিয়ে ৷ অন্যদিকে, কৃষ্ণার দ্বিতীয় বিয়ে ৷ অভিযোগ, সংসারের কোনও খরচই দিত না বাপি ৷ উলটে কৃষ্ণার জমানো টাকা জোর করে কেড়ে নিত ৷ অন্যের বাড়ি কাজ করে নিজের খরচ চালাতেন কৃষ্ণা ৷ এভাবে দিন কাটলেও সমস্যা ক্রমে বাড়ে ৷ বেশিরভাগ দিনই বাড়ির বাইরে থাকত বাপি ৷ কৃষ্ণার সঙ্গে অন্য কারোর সম্পর্ক আছে বলেও সন্দেহ করত ৷ গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় গত 20-22 দিন বাড়িতেই ছিল বাপি ৷ অভিযোগ, এই ক'দিন রোজ কৃষ্ণার উপর অত্যাচার চালাত সে ৷ অন্যের বাড়ি কাজ করে এক লাখ টাকার মতো জমিয়েছিলেন কৃষ্ণা । অভিযোগ, শুক্রবার সেই টাকা তাকে দেওয়ার কথা বলে বাপি । কৃষ্ণা তাতে রাজি না হওয়াতেই তীব্র বচসা শুরু হয় । সেই সময় দা দিয়ে গলায় কোপ মেরে স্ত্রীকে খুন করে বাপি । তারপর দেহ বিছানার চাদরে ঢাকা দিয়ে চম্পট দেয় ।
গতকাল গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ । বেহালার ভাটিখানা এলাকার একটি মন্দির থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় । পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বাপি মাথা ন্যাড়া করে, গলায় পরে তুলসির মালা । তারপর মন্দিরে আশ্রয় নেয় । যদিও এসব করেও শেষ রক্ষা হয়নি । পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে । আজ তাকে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে ।