সাগর, 27 মে : যশের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে কপিল মুনি আশ্রম চত্বর । সাগরের করাল গ্রাসে মন্দিরের সামনে থাকা প্রায় 30 টির বেশি দোকান ভেসে গিয়েছে । সমস্যায় পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ।
কথায় বলে "সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার" । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার আসার পর থেকেই এই কথার পরিবর্তন হয়েছে পুণ্যার্থীদের মধ্যে । এখন পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে একবার নয় বারবার আসতে চান । পুণ্যার্থীরাও প্রশংসা করেছেন সাগরে যাওয়া আসার ব্যাবস্থা ও সৌন্দর্যায়নকে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2014 সালে গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেন । তাদের উপর দায়িত্ব দেন গঙ্গাসাগর এবং বকখালিকে সাজানোর জন্য । দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বকখালির পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল পর্ষদ ।
চারিদিকে চকচকে রাস্তার পাশাপাশি ঝলমলে আলো ও সুন্দর সুন্দর মূর্তি বসিয়ে বাঙালির পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের বাহবা কুড়িয়েছিল এই বোর্ড । কিন্তু যশের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে কপিল মুনি আশ্রম চত্বর ।
রাস্তা সহ একাধিক মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সাগরের ব্যবসায়ীরাও এক বাক্যে গঙ্গাসাগরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে মমতা সরকারের প্রশংসা করেছে । কিন্তু বর্তমানে জলের নিচে আছে গঙ্গাসাগর । সমস্যায় পড়েছে সাগরের কয়েক হাজার মানুষ । তাদের কথা মাথায় রেখে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন সাগরে । তিনি আগামিকাল এসে কী বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে আছে সাগরবাসী ।