জয়নগর, 23 নভেম্বর: মোয়া তৈরির অন্যতম উপাদান কনকচূড় ধান। এই ধানের খই দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু জয়নগরের মোয়া। কনকচূড় ধান সংগ্রহ করে আনতে মোয়া প্রস্তুতকারকদের আগে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটতে হত। এই সমস্যা সমাধানে জয়নগর 1 নম্বর ব্লকের কৃষিবিভাগ আত্মা প্রকল্পের আওতায় ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছিল কনকচূড় ধানের বীজ। সেই বীজই এবার জয়নগরে চাষ যে পরিমাণ করা হয়েছিল, এখন জমি থেকে সেই ধান তোলার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে মোয়া তৈরির প্রক্রিয়া।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন এখন মোয়ার গুণগত মান বজায় রাখা ও উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। তাদের পরামর্শে কয়েক মাস আগে জয়নগর 1 নম্বর ব্লকের বহড়ু ক্ষেত্র, খাকুরদা, রাজাপুর-করাবেগ এবং চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 20 জন মোয়া প্রস্তুতকারকদের ধানের বীজ, 25 কেজি করে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক তুলে দিয়েছিল ব্লকের কৃষিবিভাগ। কনকচূড় ধানের চাষ মূলত হয় রায়দিঘির কাশীনগর , মন্দিরবাজারের লক্ষ্মীকান্তপুরে ৷ মোয়ার মরশুম শুরুর আগে এসব এলাকা থেকে ধান নিয়ে গিয়ে তবেই মোয়া তৈরি শুরু হত। এতে খরচও যেমন বেশি পড়ত, তেমনই গুণগত মান বজায় রাখতে গিয়ে নানা সমস্যা হত।
ব্যবসায়ীরা জানান, মোয়ার গুণগত মান নির্ভর করে কনকচূড় ধানের উপর। বাজারে এই ধানের ঘাটতি থাকায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অন্য ধানের খই দিয়ে মোয়া তৈরি করতেন। এর সমাধানে ব্লক কৃষিবিভাগ কনকচূড় ধানের চাষ প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছিল। সুফলও মিলছে। এক ধান চাষির কথায়, "তিন বিঘা জমিতে কনকচূড় ধান চাষ করেছিলাম। ধান কাটা শুরু করেছি ৷ অনেক বছর ধরে চাষ করছি ৷ ভালোই ফলন হয়েছে। ফলে এবার আর দূরে ধান কিনতে যেতে হবে না। ধান তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর সেই ধান রোদে ফেলে ও শিশিরে রেখে কড়াইয়ে তপ্ত বালিতে ভেজে খই হবে। সেই খই দিয়েই তৈরি হবে মোয়া।
আরও পড়ুন: