ETV Bharat / state

ক্যানিংয়ের এই বনেদি বাড়ির দুর্গা পূজিত হন পোড়ামুখে

ভট্টাচার্য বাড়িতে দেবী দুর্গার মন্দিরের পাশে ছিল দেবী মনসার মন্দির । পুরোহিত মহাশয় মনসা পুজো করে দুর্গাপুজো করতে এলে একটি কাক মনসা মন্দিরের ঘি এর প্রদীপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পড়ে যায় ।

ক্যানিংয়ের এই বনেদি বাড়ির দুর্গা পূজিত হন পোড়ামুখে
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 7:44 PM IST

ক্যানিং, 28 সেপ্টেম্বর : জেলার অন্যতম বনেদি বাড়ির পুজো হিসেবে পরিচিত ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো । অন্যান্য বনেদি বাড়ির তুলনায় এই ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব সম্পূর্ণ আলাদা । কারণ এখানে দেবী দুর্গা পূজিত হন পোড়া মুখ নিয়েই । দেবীর সারা শরীরও ঝলসানো তাম্র বর্ণের । এছাড়াও এখানে দেবী দুর্গার ডানদিকের পরিবর্তে বাঁদিকে থাকেন গণেশ ।

পরিবারের পুজোর ইতিহাস বহু প্রাচীন আমলের ৷ পূর্ববঙ্গের ঢাকার বিক্রমপুর বাইনখাঁড়া গ্রামে 434 বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো । পুজোর জৌলুস কমলেও, এখনো তার বনেদিয়ানাতেই সে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার । 434 বছর আগে বাংলাদেশে এই ভট্টাচার্যদের বংশধররা শুরু করেছিলেন মা দুর্গার পূজা । মূলত জমিদার বাড়ির শোভা ও আভিজাত্য প্রদর্শনের জন্য শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা । কিন্তু পূজা শুরুর বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই এই ভট্টাচার্য বাড়িতে ঘটে দুর্ঘটনা । ভট্টাচার্য বাড়িতে দেবী দুর্গার মন্দিরের পাশে ছিল দেবী মনসার মন্দির । পুরোহিত মহাশয় মনসা পুজো করে দুর্গাপুজো করতে এলে একটি কাক মনসা মন্দিরের ঘি এর প্রদীপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পড়ে যায় । আর তাতেই পুড়ে যায় দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা । এরপর এই বাড়ির মানুষজন ভাবেন দেবী দুর্গা বোধহয় তাদের পুজো আর চাইছেন না । সেই মতো পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । এমন অবস্থায় নাকি স্বপ্নাদেশ পান এই পরিবারের তৎকালীন গৃহকর্তা রামকান্ত ভট্টাচার্য । দেবী দুর্গা স্বপ্ন দেন, তাঁর পুজো যেন কোনওভাবেই বন্ধ না হয়, তার ওই পোড়া রূপেই যেন তাঁকে পুজো করা হয় । এমন স্বপ্ন পাওয়ার পর থেকে আবার শুরু হয় এই বাড়ির দুর্গাপুজা । কিন্তু আজও দেবীর সেই পোড়া মুখ ও ঝলসানো শরীর এর মূর্তিতেই বছরের পর বছর চলে আসছে এই দুর্গাপুজো ।

প্রদীপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পড়ে যায় ।

প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গাতে বড় বাজেটের পুজো প্যান্ডেলে যেমন চোখে পড়ার মতন ভিড় দেখা যায়৷ ঠিক তেমনি দূর থেকে এই ভট্টাচার্য বাড়ির ঠাকুর দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা । বছরের অন্যদিনে কাজের জন্য পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকলে ও পুজোর দিন সবাই বাড়িতে এক সঙ্গে কাটান । পরিবারের বড়রা যেমন পুজো উপলক্ষে এক জায়গাতে হয়, ঠিক তেমনি ছোটরাও খুব আনন্দ করে । ক্যানিংয়ের পুজোগুলোর মধ্যে ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো সেরার শিরোপার দাবি রাখে ।

ক্যানিং, 28 সেপ্টেম্বর : জেলার অন্যতম বনেদি বাড়ির পুজো হিসেবে পরিচিত ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো । অন্যান্য বনেদি বাড়ির তুলনায় এই ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব সম্পূর্ণ আলাদা । কারণ এখানে দেবী দুর্গা পূজিত হন পোড়া মুখ নিয়েই । দেবীর সারা শরীরও ঝলসানো তাম্র বর্ণের । এছাড়াও এখানে দেবী দুর্গার ডানদিকের পরিবর্তে বাঁদিকে থাকেন গণেশ ।

পরিবারের পুজোর ইতিহাস বহু প্রাচীন আমলের ৷ পূর্ববঙ্গের ঢাকার বিক্রমপুর বাইনখাঁড়া গ্রামে 434 বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো । পুজোর জৌলুস কমলেও, এখনো তার বনেদিয়ানাতেই সে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার । 434 বছর আগে বাংলাদেশে এই ভট্টাচার্যদের বংশধররা শুরু করেছিলেন মা দুর্গার পূজা । মূলত জমিদার বাড়ির শোভা ও আভিজাত্য প্রদর্শনের জন্য শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা । কিন্তু পূজা শুরুর বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই এই ভট্টাচার্য বাড়িতে ঘটে দুর্ঘটনা । ভট্টাচার্য বাড়িতে দেবী দুর্গার মন্দিরের পাশে ছিল দেবী মনসার মন্দির । পুরোহিত মহাশয় মনসা পুজো করে দুর্গাপুজো করতে এলে একটি কাক মনসা মন্দিরের ঘি এর প্রদীপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পড়ে যায় । আর তাতেই পুড়ে যায় দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা । এরপর এই বাড়ির মানুষজন ভাবেন দেবী দুর্গা বোধহয় তাদের পুজো আর চাইছেন না । সেই মতো পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । এমন অবস্থায় নাকি স্বপ্নাদেশ পান এই পরিবারের তৎকালীন গৃহকর্তা রামকান্ত ভট্টাচার্য । দেবী দুর্গা স্বপ্ন দেন, তাঁর পুজো যেন কোনওভাবেই বন্ধ না হয়, তার ওই পোড়া রূপেই যেন তাঁকে পুজো করা হয় । এমন স্বপ্ন পাওয়ার পর থেকে আবার শুরু হয় এই বাড়ির দুর্গাপুজা । কিন্তু আজও দেবীর সেই পোড়া মুখ ও ঝলসানো শরীর এর মূর্তিতেই বছরের পর বছর চলে আসছে এই দুর্গাপুজো ।

প্রদীপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পড়ে যায় ।

প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গাতে বড় বাজেটের পুজো প্যান্ডেলে যেমন চোখে পড়ার মতন ভিড় দেখা যায়৷ ঠিক তেমনি দূর থেকে এই ভট্টাচার্য বাড়ির ঠাকুর দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা । বছরের অন্যদিনে কাজের জন্য পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকলে ও পুজোর দিন সবাই বাড়িতে এক সঙ্গে কাটান । পরিবারের বড়রা যেমন পুজো উপলক্ষে এক জায়গাতে হয়, ঠিক তেমনি ছোটরাও খুব আনন্দ করে । ক্যানিংয়ের পুজোগুলোর মধ্যে ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো সেরার শিরোপার দাবি রাখে ।

Intro:জেলার অন্যতম বনেদী বাড়ির পুজো হিসেবে পরিচিত ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। অন্যান্য বনেদী বাড়ির তুলনায় এই ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব সম্পূর্ণ আলাদা। কারন এখানে দেবী দুর্গা পুজিত হন পোড়া মুখ নিয়ে। দেবীর সারা শরীর ও ঝলসানো তাম্র বর্ণের। এছাড়াও এখানে দেবী দুর্গার ডানদিকের পরিবর্তে বাঁদিকে থাকেন গণেশ। পূর্ববঙ্গের ঢাকার বিক্রমপুর বাইনখাঁড়া গ্রামে ৪৩৪ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। পুজোর জৌলুস কমলেও, এখনো তার বনেদিয়ানাতেই সে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। Body:৪৩৪ বছর আগে বাংলাদেশে এই ভট্টাচার্যদের বংশধররা শুরু করেছিলেন মা দুর্গার পূজা। মূলত জমিদার বাড়ির শোভা ও আভিজাত্য প্রদর্শনের জন্য শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা। কিন্তু পূজা শুরুর বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই এই ভট্টাচার্য বাড়িতে ঘটে দুর্ঘটনা। ভট্টাচার্য বাড়িতে দেবী দুর্গার মন্দিরের পাশে ছিল দেবী মনসার মন্দির। পুরোহিত মহাশয় মনসা পূজো করে দুর্গা পুজো করতে এলে একটি কাক মনসা মন্দিরের ঘি এর প্রদিপের পলতে নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দুর্গা মন্দিরের শনের চালে সেটি পরে যায়। আর তাতেই পুড়ে যায় দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা। এরপর এই বাড়ির মানুষজন ভাবেন দেবী দুর্গা বোধহয় তাদের পুজো আর চাইছেন না। সেই মোতাবেক পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এমন অবস্থায় একদিন রাতে স্বপ্নাদেশ পান এই পরিবারের তৎকালীন গৃহকর্তা রামকান্ত ভট্টাচার্য। দেবী দুর্গা স্বপ্ন দেন যে তার পুজো যেন কোন ভাবেই বন্ধ না হয়, তার ঐ পোড়া রূপেই যেন তাকে পুজো করা হয়। এমন স্বপ্ন পাওয়ার পর থেকে আবার শুরু হয় এই বাড়ির দুর্গাপুজা। কিন্তু আজও দেবীর সেই পোড়া মুখ ও ঝলসানো শরীর এর মূর্তিতেই বছরের পর বছর চলে আসছে এই দুর্গাপুজো।Conclusion:প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গাতে বড় বাজেটের পুজো প্যান্ডেলে যেমন চোখে পড়ার মতন ভিড় দেখা যায় ঠিক তেমনি দূর দুরন্ত থেকে এই ভট্টাচার্য বাড়ির ঠাকুর দেখতে আসে দর্শনার্থীরা। বছরের অন্যান্য দিন গুলোতে কাজের জন্য পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকলে ও পুজোর কটাদিন সবাই বাড়িতে এক সঙ্গে কাটাই। পরিবারের বড়রা যেমন পুজো উপলক্ষে এক জায়গাতে হয় ঠিক তেমনি ছোটরা ও খুব আনন্দ করে। ক্যানিং এর সেরা পুজো গুলোর মধ্যে ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো সেরার দাবি রাখে এখনো।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.