ETV Bharat / state

সর্পদষ্টা বধূর মৃত্যুর পরও ওঝার শরণ নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা - সর্পদষ্টা বধূ

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কালীতলার ওই মহিলার নাম মণিমালা দাস (29) । তাঁর স্বামী বলরাম দাস পেশায় মৎস্যজীবী । বলরাম জানান, রাত 11টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা । রাত তখন 2টো হবে । স্ত্রী মণিমালা বলরামকে জানান, সাপে কাটার কথা । কিন্তু, চিকিৎসক নয়, ওঝাকে খবর দিয়েছিলেন বলরাম ।

মণিমালা দাস
author img

By

Published : Jul 14, 2019, 12:27 PM IST

কালীতলা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), 14 জুলাই : চিকিৎসকরা সত্যটা বলে দিয়েছিলেন । ভরতি না নিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিলেন দেহ । কিন্তু, তা মেনে নিতে পারেনি পরিবার । আর তাই সাপে কাটা মহিলাকে ওঝার ভরসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দিল তারা । আশা, হয়তো বেঁচে উঠবেন ।

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কালীতলার ওই মহিলার নাম মণিমালা দাস (29) । তাঁর স্বামী বলরাম দাস পেশায় মৎস্যজীবী । বলরাম জানান, রাত 11টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা । রাত তখন 2টো হবে । স্ত্রী মণিমালা বলরামকে জানান, সাপে কাটার কথা । কিন্তু, চিকিৎসক নয়, ওঝাকে খবর দিয়েছিলেন বলরাম । যিনি এসে নিজের মতো করে কাজ শুরু করেছিলেন । যদিও সম্ভবত অবস্থা বেগতিক বুঝে হাত গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনিও । তখনই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ওঝার ।

রাতে সাপ কাটলেও সকালের আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি ওই মণিমালাকে । হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহিলাকে মৃত বলে জানিয়ে দেওয়া হয় । তারপর শুরু হয় আর এক ওঝার কেরামতি । শুরু হয় মৃতদেহে প্রাণ ফেরানোর আশা জাগিয়ে ঝাড়ফুঁক ।

সম্ভবত সে সময় খবরটা পৌঁছায় স্থানীয় হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় । মৃত মণিমালার বাড়িতে যায় পুলিশ । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তারা । আপত্তি তোলেন স্বয়ং বলরাম । স্ত্রীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠাতে রাজি হননি তিনি । সেই আপত্তি অবশ্য ধোপে টেকেনি । আর মৃতদেহে প্রাণ ফেরাতে গিয়ে পুলিশের হাতে পাকড়াও হন ওঝা সঞ্জীব দাস । যদিও ওঝার দাবি, তিনি নাকি মৃতদেহ থেকে বিষ সরাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছেন । তাঁর চিকিৎসায় নাকি সাড়া দিতে থাকে মৃতদেহ, দাবি সঞ্জীবের ।

অনেক সময় ওঝাদের হাত ঘুরে সর্পদষ্টারা যতক্ষণে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে পৌঁছান, অনেক দেরি হয়ে যায় । সে জন্য বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্যবিভাগ ওঝাদের প্রশিক্ষণ দিতে শিবির করছে । সেখানে ওঝাদের বোঝানো হচ্ছে পুরনো ধ্যানধারণা আঁকড়ে থাকলে হিতে বিপরীত হয় । ঝাড়ফুঁক করে সর্পদষ্টাকে বাঁচানো যায় না । প্রাণ বাঁচাতে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই একমাত্র রাস্তা । সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন অসরকারি সংগঠন প্রচার অভিযান চালালেও কাজের কাজ যে কিছু হচ্ছে না, তা আবারও প্রমাণ হল । এ প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসাপাতালের চিকিৎসক সমর রায় মেনে নিলেন সচেতনতার অভাবের কথা । বিষয়টি দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।

কালীতলা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), 14 জুলাই : চিকিৎসকরা সত্যটা বলে দিয়েছিলেন । ভরতি না নিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিলেন দেহ । কিন্তু, তা মেনে নিতে পারেনি পরিবার । আর তাই সাপে কাটা মহিলাকে ওঝার ভরসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দিল তারা । আশা, হয়তো বেঁচে উঠবেন ।

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কালীতলার ওই মহিলার নাম মণিমালা দাস (29) । তাঁর স্বামী বলরাম দাস পেশায় মৎস্যজীবী । বলরাম জানান, রাত 11টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা । রাত তখন 2টো হবে । স্ত্রী মণিমালা বলরামকে জানান, সাপে কাটার কথা । কিন্তু, চিকিৎসক নয়, ওঝাকে খবর দিয়েছিলেন বলরাম । যিনি এসে নিজের মতো করে কাজ শুরু করেছিলেন । যদিও সম্ভবত অবস্থা বেগতিক বুঝে হাত গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনিও । তখনই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ওঝার ।

রাতে সাপ কাটলেও সকালের আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি ওই মণিমালাকে । হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহিলাকে মৃত বলে জানিয়ে দেওয়া হয় । তারপর শুরু হয় আর এক ওঝার কেরামতি । শুরু হয় মৃতদেহে প্রাণ ফেরানোর আশা জাগিয়ে ঝাড়ফুঁক ।

সম্ভবত সে সময় খবরটা পৌঁছায় স্থানীয় হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় । মৃত মণিমালার বাড়িতে যায় পুলিশ । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তারা । আপত্তি তোলেন স্বয়ং বলরাম । স্ত্রীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠাতে রাজি হননি তিনি । সেই আপত্তি অবশ্য ধোপে টেকেনি । আর মৃতদেহে প্রাণ ফেরাতে গিয়ে পুলিশের হাতে পাকড়াও হন ওঝা সঞ্জীব দাস । যদিও ওঝার দাবি, তিনি নাকি মৃতদেহ থেকে বিষ সরাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছেন । তাঁর চিকিৎসায় নাকি সাড়া দিতে থাকে মৃতদেহ, দাবি সঞ্জীবের ।

অনেক সময় ওঝাদের হাত ঘুরে সর্পদষ্টারা যতক্ষণে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে পৌঁছান, অনেক দেরি হয়ে যায় । সে জন্য বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্যবিভাগ ওঝাদের প্রশিক্ষণ দিতে শিবির করছে । সেখানে ওঝাদের বোঝানো হচ্ছে পুরনো ধ্যানধারণা আঁকড়ে থাকলে হিতে বিপরীত হয় । ঝাড়ফুঁক করে সর্পদষ্টাকে বাঁচানো যায় না । প্রাণ বাঁচাতে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই একমাত্র রাস্তা । সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন অসরকারি সংগঠন প্রচার অভিযান চালালেও কাজের কাজ যে কিছু হচ্ছে না, তা আবারও প্রমাণ হল । এ প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসাপাতালের চিকিৎসক সমর রায় মেনে নিলেন সচেতনতার অভাবের কথা । বিষয়টি দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।

Intro:সাপের কামড়ে মৃত এক গৃহবধূকে বাঁচানোর চেষ্টায় ওঝার দ্বারস্থ হলেন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল থেকে মৃত্যু ঘোষণা করা হলেও অন্ধবিশ্বাসে ভরসা করে মৃত মনিমালা দাসের পরিবারের লোকেরা স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান দেহ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ঝাড়ফুঁক চলার পর অবশেষে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার হার উড পয়েন্ট কোস্টাল থানার কালিতলা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে খবর শুক্রবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মনিমালা দাস নামে ঐ গৃহবধূকে সাপে কামড়ায়। পরিবারের লোকজন স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে গেলে ওঝা ঝাড়ফুঁক না করে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন রুগীকে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকেরা তখনও ওই গৃহবধূর মৃত্যুর কথা বিশ্বাস করতে পারেন নি। আর সেই কারণেই হাসপাতাল থেকে ফের ওঝার কাছে তাকে নিয়ে যান। এবার চলে ওঝার কেরামতি। মৃতদেহে প্রাণ ফেরানোর জন্য চলে ঝাড়ফুঁক। দীর্ঘ পাঁচ ছয় ঘণ্টা ঝাড়ফুঁক এর পর ও জীবিত হননি সাপের কামড় খেয়ে মারা যাওয়া ওই গৃহ বধূ। তবে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গভীর রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত এর জন্য পাঠিয়েছে।Body:ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার ও অন্ধ কুসংস্কার এর ছবি সামনে এসেছে। এখন কার সমাজে সাপে কাটা নিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা সচেতন মূলক প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তবু ও এই ঘটনা সামনে আশায় হতবাক সবায়।Conclusion:Intro ও body তে কপি দিলাম
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.