ভাঙড়, 12 জুলাই: পঞ্চায়েতে ভোটচুরির অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ । ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাকসুদ হাসান । গণনা শেষে রাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড় । আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূলের । পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের উপরও হামলা চলে । অভিযোগ, আইএসএফ সমর্থকরাই গোটা এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বোমাবাজি ও গুলি চালায় । ঘটনায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মী- সমর্থকদের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।
রাত সাড়ে 12 টার সময়ও ভাঙড়ে পরিস্থিতি ভয় ধরানোর মতোই ছিল । লাগাতার বোমাবাজি ও গুলি চলছিল । ডিএসপি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর । স্থানীয়রা নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখলেও পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যায় । কারণ, রাত বাড়তেই তাজা বোমা ও বন্দুক নিয়ে দাপাদাপি শুরু হয় দুষ্কৃতীদের বলে অভিযোগ । খবর করতে গিয়ে এলাকায় আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী । স্থানীয়দের ফোন পেয়েই পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে যান বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মাকসুদ হাসান । তখনই তিনি গুলিবিদ্ধ হন ।
দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব ঠেকাতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ । তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় । গণনার দিন সকাল থেকে ভাঙড় শান্ত থাকলেও বিকেলে ফলাফল সামনে আসার পর বেসামাল হয় পরিস্থিতি । আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, তাদের ভোট চুরি করা হয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শুরু হয় বোমবাজি ।
আরও পড়ুন : নারকীয় গণহত্যার বগটুয়ে বিজেপির পরাজয়! স্বস্তি তৃণমূল শিবিরে
মঙ্গলবার গণনার দিন সকালেই ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল । ভোটের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । জানতে চান, ভাঙড় গণনার দিন শান্তিপূর্ণ কি না । স্থানীয়রাও গণনার দিন সকালে ভাঙড়ের শান্ত-স্বাভাবিক ছবি দেখে আশ্বস্ত হন । রাজ্যপালকেও জানান, নতুন করে আর কোনও অশান্তি হয়নি ভাঙড়ে । এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই সেই ভাঙড়েই ফের চলল গুলি । ভোট পরবর্তী ভাঙড় নতুন করে উত্তপ্ত । উদ্বেগে পুলিশ-প্রশাসন ।