ক্যানিং, 12 জুন : ডাক্তারে বিশ্বাস নেই । তাই সাপে কাটার পর যুবককে নিয়ে ওঝার কাছে গেল পরিবার । ওঝা ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভরতি করে । পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরে সুস্থ হচ্ছে না দেখে পুনরায় ওঝার দ্বারস্থ হয় রোগীর পরিবার । এরপর সাংবাদিকের তৎপরতায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় ওই যুবককে । সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় M R বাঙুর হাসপাতালে । বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন ।
রবিবার রাতে মাঠ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল সঞ্জয় মণ্ডল (20) । অন্ধকারে হঠাৎ ডান পায়ের গোড়ালির কাছে কামড়ে দেয় সাপ । সে বারুইপুরের সুভাষ গ্রামের পেটুয়া পাড়ার বাসিন্দা । অসুস্থ হয়ে পড়লে যুবককে নিয়ে তার পরিবার চলে যায় ওঝার কাছে । সেখানে ওঝা কিছু না করতে পারায় পরিবার তাকে নিয়ে যায় সুভাষ গ্রাম হাসপাতালে । সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় M R বাঙুর হাসপাতালে । সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । এর মাঝে আরও দুটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ভরতি না নিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয় । চিত্তরঞ্জনে চিকিৎসা চলাকালীন তার পরিবারের বিশ্বাস ছিল সঞ্জয় সুস্থ হচ্ছে না । এরপর তারা নিজের দায়িত্বে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে আসে ।
মঙ্গলবার সঞ্জয়কে তার পরিবার নিয়ে আসে ক্যানিংয়ে এক ওঝার বাড়িতে । ওঝাও রোগীকে ফিরিয়ে দেয় । এরপর তারা আসে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে । সেখানেই এক সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে সঞ্জয়ের পরিবার সাপে কামড়ানোর সম্পূর্ণ ঘটনা জানায় । এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে । চিকিৎসক রোগীর অবস্থা দেখে আঁতকে ওঠেন । এরপর সেখানেই ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু হয় । বর্তমানে তার অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক, তাকে আবার কলকাতায় পাঠানো হয় । পরিবারকে ওঝার কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, "চিকিৎসা বিশ্বাস করি না, ওঝা বিশ্বাস করি ।" জখম অবস্থায় পুনরায় অসুস্থ সঞ্জয় মণ্ডলকে M R বাঙুর হাসপাতালে পাঠান ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা । সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসা চলছে সঞ্জয় মণ্ডলের ।