গঙ্গাসাগর, 17 জানুয়ারি : ছোটো থেকেই পড়াশোনার সঙ্গে খেলাতেও সমান পারদর্শী ছিলেন ত্রিপুরার দীপালি রায় বর্মণ । ছিলেন বেশ ডানপিটে । শট পাট হোক বা জ্যাভলিন দীপালি রায় বর্মণ সবকিছুতেই ছিলেন আগে ।
রাজ্য দলের হয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশগ্রহণ করেছিলেন । এদিকে পড়াশোনাতেও ছিলেন সফল । কলেজেও ভালো নম্বর নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি পেয়েছিলেন। তারপর যোগ দেন ত্রিপুরার PWD দপ্তরে ৷ সেই কাজও সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে ৷
ছোটবেলা থেকেও আর পাঁচটা মেয়ের থেকে আলাদা ছিলেন ৷ তাঁর কথায়, পরিণত বয়সে একদিন হঠাৎ পেলেন ঈশ্বরের ডাক ৷ কিন্তু এই মনোভাবের বদল নিয়ে কারও কাছেই ঠিকমতো উত্তর পাননি তিনি ৷ উত্তর খুঁজতে তীর্থস্থানে যাতায়াত শুরু করেন তিনি ৷
একটা সময় মনে হয়, উত্তর পেতে হলে ঘর ছাড়তে হবে তাঁকে ৷ সেই মতো মোটা বেতনের সরকারি চাকরির মোহ ত্যাগ করে, ঘর ছেড়ে নামলেন রাজপথে ৷ দীক্ষা নিলেন গিরি সম্প্রদায়ে, দীপালি হলেন দিব্যজ্যোতি ৷
তিনি বলেন, পেয়েছেন প্রশ্নের জবাব ৷ পথ দেখাচ্ছেন দিগভ্রষ্টদের ৷ সাগর তীর্থে তাঁর আখড়াতে রোজ নামে মানুষের ঢল ৷ অনেকদিন ধরেই গঙ্গাসাগরে আসছেন ৷ তাঁর কথায়, দীপালি থেকে দিব্যজ্যোতি হওয়ার পথে তিনি যে আলো পেয়েছেন, তা ছড়িয়ে দিতে চান সকলের মধ্যে ৷