কলকাতা, 11 অক্টোবর: পরীক্ষামূলকভাবে বছর খানেক আগেই বেহালার বেশ কয়েকটি গলিতে পিচ রাস্তার বদলে প্লাস্টিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল রাস্তা। এবার গলি ছেড়ে বড় রাস্তায় পড়ল প্লাস্টিক উপাদানের আস্তরণ। গলিতে সফল হয়েছে। আশানুরূপভাবে টেকসই পিচ রাস্তার তুলনায়। তাই এবার ভারী যানবাহন চলে এমন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। যদি এই প্লাস্টিক উপাদানে তৈরি রাস্তার অংশ ভারী যানবাহন চললেও টেকসই হয় তাহলে আগামিদিনে বড় রাস্তা পিচের বদলে ব্যবহার হবে এই প্লাস্টিক উপাদান।
দেশের বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই প্লাস্টিকের উপাদান দিয়ে রাস্তা তৈরি চালু হয়েছে। কলকাতায় এখন সেই পথে হাঁটেনি। গত বছর বেহালার বেশ কয়েকটি গলি পরীক্ষামূলকভাবে এই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হলে সফল হয়। জল বর্ষায় খানাখন্দ হয়নি। গাড়ি যাতায়াতে বেশ ভালো। এবার খানাখন্দে ভরা উঁচু-নিচু ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশ এই প্লাস্টিক উপাদান দিয়ে করা হল। বৃষ্টিতে রাস্তা খুব একটা ক্ষতি হবে না। ভারী যাবাহন চলাচলে এই রাস্তা দীর্ঘদিন ঠিক থাকে কি না, এবার সেটাই দেখার।
সামনে উৎসব তার আগেই বেহালার সঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনার সংযোগকারী রাস্তার একাংশে প্লাস্টিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক, বর্জ্য, নানা রাসায়নিকের সংযোগে এই উপাদান তৈরি। এর সঙ্গে বিটুমিন মিশিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের করা হচ্ছে রাস্তার আস্তরণ। প্রাথমিকভাবে মাঝেরহাট ব্রিজ থেকে রিমাউন্ট রোড পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার রোডের দু'দিক মিলিয়ে আপাতত 600 মিটার রাস্তা এভাবে তৈরি করেছে কলকাতা কর্পোরেশনের রাস্তা বিভাগ।
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, রাস্তার হাল বেশি খারাপ হয় জল বর্ষায়। কিন্তু প্লাস্টিকের উপাদান দিয়ে যে রাস্তাগুলো করা তার বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। এই প্লাস্টিক উপাদানে তৈরি রাস্তার খরচ কম। বছরে রাস্তা তৈরির কাঁচামাল প্রায় 30-40 কোটি টাকা কম হতে পারে। বক্সিবাগান, নেতাজি সুভাষ রোড আগেই প্লাস্টিক উপাদানে হয়েছে। এই বিষয় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, এবার ধীরে ধীরে কলকাতার সব রাস্তা এই প্লাস্টিক উপাদান ব্যবহারে হবে।
আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ডেপুটি স্পিকারকে ঘিরে বিক্ষোভ বোলপুরে