ডায়মন্ডহারবার, 20 এপ্রিল : ভিন রাজ্যে পাচার হওয়া নাবালিকাকে উদ্ধার করল ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ ৷ বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ নাবালিকা অভিযোগ করেছে, অভিনয়ে সুযোগ করে দেওয়ার নাম করে তাকে বিহারে পাচার করে দেয় সুমন নামে এক যুবক ৷ তার সঙ্গে ওই নাবালিকার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে ফোনে কয়েকবার কথা হয় ৷ তখনই তাকে অভিনয়ে সুযোগ দেওয়ার টোপ দেয় ওই যুবক ৷ তারপর গত 13 এপ্রিল বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে ৷
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারের শিরাকলের কাছে ওই যুবক তার জন্য বাইকে অপেক্ষা করছিল ৷ সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে বাইকে করে বাবুঘাটে পৌঁছে দেয় অভিযুক্ত সুমন ৷ সেখানে তাকে বিহার সীমানা লাগোয়া একটি বাসে তুলে দেয় অভিযুক্ত ৷ এর পর বাসে করে ওই নাবালিকা বিহার লাগোয়া একটি জায়গায় বাস থেকে নামে ৷ সেখান থেকে বিহারের গোপালগঞ্জের বাস ওঠে সে ৷ পরেরদিন ভোরে ওই নাবালিকা গোপালগঞ্জে পৌঁছায় ৷ সেখানে নামার পর এক মহিলা তাকে অজ্ঞান করে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় ৷
ওই নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, তাকে সবসময় বেহুঁশ করে রাখা হত ৷ এমনকি বাড়ি ফেরার কথা বললে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হত ৷ পরবর্তী সময়ে সে জানতে পারে, সুমন নামে ওই যুবক তাকে বিহারে 17 হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে ৷ বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজের ফোন থেকে বাড়িতে যোগাযোগ করে সে ৷ ওই নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, তার ফোন ওই অপহরণকারীরা হাতে পায়নি ৷ ফলে সে তার বাবাকে হোয়াটসঅ্যাপে নিজের লোকেশন পাঠিয়ে দেয় ৷ এর পর পরিবারের তরফে ডায়মন্ডহারবার থানায় যোগাযোগ করা হয় ৷
আরও পড়ুন : কানপুরে ব্যস্ত রাস্তায় অপহরণ, দেখেও দেখল না কেউ !
পুলিশ দ্রুত নাবালিকার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করতে শুরু করে ৷ পরবর্তী সময়ে বিহারের গোপালগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ ৷ গত 17 এপ্রিল 5 সদস্যের একটি পুলিশের দল বিহারে গিয়ে একটি বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে ৷ মঙ্গলবার চাইল্ড লাইনের উপস্থিতিতে ওই নাবালিকাকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷