গঙ্গাসাগর, 14 মে : করোনা আবহে সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে চালু হয়েছে আংশিক লকডাউন ৷ বন্ধ ট্রেন চলাচল ৷ বাতিল হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও ৷ খোলাবাজারে পান বিক্রি প্রায় বন্ধই বলা চলে ৷ তার সঙ্গে রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরেও বন্ধ হয়েছে পান বিক্রি ৷ যার জেরে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে সুন্দরবনের পান চাষিদের ৷
সুন্দরবনের অর্থকরী ফসল পান ৷ কয়েক মাস আগেও ছবিটা ছিল অন্যরকম ৷ দিব্যি রমরমিয়ে চলছিল পানের ব্যবসা ৷ খোলাবাজারে পান বিক্রি করে , অন্য রাজ্যে পান পাঠিয়ে করে বেশ খুশি ছিলেন তাঁরা ৷ যদিও মাঝে ছেদ পড়েছিল করোনার প্রথম ঢেউয়ে ৷ বেচাকেনা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল ৷ তারপরই আমফানের দাপট ৷ তছনছ হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের একের পর এক পানের বরজ ৷ যদিও সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ মিলেছিল ৷ কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলে আক্ষেপ পান চাষিদের ৷ ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁরা ৷
এক একটা পানের বরজ তৈরি করতে খরচ পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ৷ ট্রেন চলাচল বন্ধ ৷ ফলে বেচাকেনাও বন্ধ ৷ বরজেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে লক্ষাধিক টাকার পান ৷ কার্যত ক্ষতির মুখে পড়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা সহ সুন্দরবনের পান চাষিরা । সুন্দরবনের বেশিরভাগ মানুষেরই সংসার চলে পান ব্যবসার টাকায় ৷ কিন্তু বিক্রিবাটা বন্ধ থাকায় নুন আনতে পান্তা ফোরানোর দশা তাঁদের ৷
আরও পড়ুন : রাজ্য়বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ফিরহাদের
রাজ্যজুড়ে যেমন তাঁরা পান বিক্রি করতেন তেমনই রাজ্যের বাইরেও পান পাঠাতেন ৷ কিন্তু সবই এখন বিশ বাঁও জল ৷ আবার কবে ছন্দে ফিরবে তাঁদের ব্যবসা ! কবে ফের ট্রেন চালু হবে ! আশায় দিন গুনছেন তাঁরা ৷